ভরদুপুরে ব্যাঙ্কের ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুঠ করে পালাল চার দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার দুপুর দু’টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলির মহেশতলা থানার মোল্লারগেট এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। ওই ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, চার লক্ষ দশ হাজার টাকা লুঠ হয়েছে। এই ঘটনায় এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের উপরে একটি বাড়ির দোতলায় ওই ব্যাঙ্কটিতে চার দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র ও ভোজালি নিয়ে হানা দেয় এ দিন দুপুরে। তিন জন ব্যাঙ্কের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কর্মী ও গ্রাহকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। আর এক জন ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে নগদ টাকা ব্যাগে ভরে নেয়। |
ব্যাঙ্ককর্মীরা বলেন, “দু’টি মোটরসাইকেলে চার জন দুষ্কৃতী এসেছিল। সকলের বয়স ১৬-১৭ বছরের মধ্যে। তাদের মুখ ঢাকা ছিল না।” পুলিশ জানায়, ডাকাতির পরে মোটরসাইকেলে চেপেই চম্পট দেয় ওই চার জন। ওই সময়ে একটি অটো তাদের সামনে এসে পড়ে। এর ফলে একটি মোটরসাইকেল বেসামাল হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেটি ছেড়ে রাস্তা দিয়ে দৌড়ে পালায় দুই দুষ্কৃতী। পরে পুলিশ ওই মোটরসাইকেলটি আটক করে। সেটির নম্বর মিলিয়ে একটি গ্যারাজের মালিককে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশের দাবি, জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, তিনি মোটরসাইকেলটি আর এক ব্যক্তিকে বিক্রি করেছিলেন। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যাঙ্কে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। সিসি টিভিরও ব্যবস্থা করা হয়নি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক গণেশ চক্রবর্তী বলেন, “চার জনের হাতেই রিভলভার ছিল। দুষ্কৃতীরা সকলেই বাংলায় কথা বলছিল।” সিআইডি-র একটি দল ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ওই কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের কোনও দল এই ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্কর বারুই বলেন, “আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরা যাবে বলে মনে হচ্ছে।” |