হুকিং ধরতে গিয়ে আক্রান্ত বিদ্যুৎকর্মীরা |
বিদ্যুৎ চুরি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের মারধর ও তাঁদের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল কিছু গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বোলপুর থানা এলাকার মজিদাপুর গ্রামে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার শান্তিনিকেতন গ্রুপ ইলেট্রিক সাপ্লাই অফিসের কিছু আধিকারিক ও কর্মী এ দিন বিদ্যুৎ চুরি ধরতে ওই গ্রামে হানা দেন। হুকিং করা, মিটারে কারচুপি করার মতো অভিযোগে কিছু বাসিন্দাকে হাতেনাতে ধরাও হয়। ওই গ্রুপ সাপ্লাই অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মহম্মদ সোহেল হাসানের অভিযোগ, “বিদ্যুৎ চুরিতে অভিযুক্ত কিছু লোক আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। কর্মী-আধিকারিকদের মারধর করা হয়েছে। আমাদের ৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।” খবর পেয়ে বোলপুরের এসডিপিও দেবস্মিতা দাসের নেতৃত্বে বড় পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আক্রান্ত বিদ্যুৎকর্মীদের উদ্ধার করে সাত জন গ্রামবাসীকে আটক করা হয়। গ্রামবাসীদের পক্ষে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জানেরুল মল্লিকের অবশ্য দাবি, “আমরা বিদ্যুৎ সেংযাগ পেতে টাতা জমা দিয়েছি। বহুবার বিদ্যুৎ দফতরে আবেদন নিবেদন করেও সংযোগ মেলেনি। তাই নিরুপায় হয়ে হুকিং করতে হয়েছে।” ‘বেআইনি’ ভাবে পুলিশ সাত জনকে আটক করেছে বলেও তাঁর অভিযোগ।
|
দেহ নিয়ে যেতে নতুন গাড়ি |
অভিযুক্তদের যে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, বিভিন্ন কারণে ওই গাড়িতে করেই হাসপাতালে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সমস্যা এত দিনে মিটেছে। বোলপুরের সিপিএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোমের সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া অর্থে পুলিশকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হল। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুলিশের হাতে ওই শববাহী গাড়ি তুলে দেন সাংসদ। রামচন্দ্রবাবু বলেন, “জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর থানা এলাকায় দুর্ঘটনার কারণে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শববাহী গাড়ির সমস্যার কথা বলেছিলেন। তাই সাংসদ তহবিল থেকে পুলিশকে একটি গাড়ি দেওয়া হয়েছে।” ওই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারহাত আব্বাস, বোলপুরের এসডিপিও দেবস্মিতা দাস প্রমুখ।
|
তরুণীর উপরে হামলা সিউড়িতে |
এক তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ‘প্রাক্তন প্রেমিক’-এর বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে সিউড়ি শহরের চাঁদমারি মাঠে। গলায় আঘাত নিয়ে ওই তরুণী সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক, শহরের লালকুঠিপাড়ার বাসিন্দা শনিফার ইসলাম পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশের কাছে ওই তরুণী অভিযোগ করেছেন, আগে তাঁরা লালকুঠিপাড়াতেই থাকতেন। তখন শনিফারের সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’ হয়। ওই পাড়া থেকে চলে যাওয়ার পরে সম্পর্কে ছেদ পড়ে। মাঝেমধ্যেই শনিফার তাঁকে ফোন করে পুরনো ছবি প্রকাশ করার হুমকি দিত। তরুণীটির দাবি, বুধবার ছবিগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁকে বোলপুরে ডাকে শনিফার। সেখান থেকে চাঁদমারি মাঠে নিয়ে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলায় আঘাত করে। তরুণীর চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে শনিফার পালায়।
|
পুলিশের বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয় ও কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ তুললেন নানুরের তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরা। পুলিশের দাবি, তারা বৃহস্পতিবার নানুর বিধানসভা এলাকায়, বোলপুর থানার সিঙ্গি গ্রামে দুষ্কৃতী ধরতে গিয়েছিল। গদাধরবাবুর অভিযোগ, “দুষ্কৃতী ধরার নামে পুলিশ নিরীহ গ্রামবাসীদের উপরে অত্যাচার করেছে। বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। আমি কলকাতায় আছি। ফিরে সরেজমিন ঘটনা খতিয়ে দেখে অভিযোগ জানাব।” জেলা পুলিশ সুপার নিশাত পারভেজ অবশ্য বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই গ্রাম থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মারধর বা ভাঙচুরের অভিযোগ ঠিক নয়।” একই সুরে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, “অপরাধী ধরা বা অপরাধ দমন করা পুলিশের কাজ। আমাদের কোনও কর্মীর বাড়িতে বা দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।”
|
রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে পার্সি ভাষাকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে চালু করার দাবি তুললেন ওই ভাষা নিয়ে বিশ্বভারতীর পাঠরত ও উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা। সম্প্রতি তাঁদের এই আবেদন বিশ্বভারতীর কলাভবনের আরবিক, পার্সি, উর্দ্দু এবং ইসলামিক বিভাগের প্রধানেরা সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। ওই বিষয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে মহম্মদ মফিজুর, শেখ কুতুবুদ্দিনরা, শাহানারা খাতুনরা বলেন, “মুঘল ইতিহাস জানার জন্য এই ভাষা অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমানে তা বিলুপ্তির পথে। বছর খানেক আগে তৎকালীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।”
|
কলকাতা ও সাঁইথিয়ার দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে সাঁইথিয়ায় ছ’দিন ব্যাপী প্রতিবন্ধী শিবির হল। সেখানে প্রতিবন্ধীদের কৃত্রিম অঙ্গ দেওয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার। |