পাকিস্তান ভারতকে বাণিজ্যে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
পাক তথ্যমন্ত্রী ফিরদৌস আশিক আওয়ান গত কাল ঘোষণা করেন, মন্ত্রিসভা বাণিজ্যে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দিতে সম্মত হয়েছে। এমনকী এ ব্যাপারে দেশের সামরিক কর্তাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলেরও সায় রয়েছে। আওয়ানের এই বিবৃতি পাক সরকারের সরকারি ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই বিবৃতি সরিয়ে নতুন বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টিতে একমত হয়েছে মন্ত্রিসভা। কিন্তু ভারতকে বাণিজ্যে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেওয়ার কোনও উল্লেখ রাখা হয়নি। পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র তেহমিনা জানজুয়া আজ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে ভারতকে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।”
গত কাল মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ইউসূফ রাজা গিলানি ওতথ্যমন্ত্রী আওয়ানের গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয়। তাতে মন্ত্রিসভার বেশ কয়েক জন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্যে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেওয়ার কথা এ ক্ষেত্রেও উল্লেখ করা হয়নি। পরে আলাদা বিবৃতি দেওয়া হয় পাক বাণিজ্য সচিবালয় থেকে। তাতে ভারত-পাক বাণিজ্যিক ইতিহাস, ব্যবসায়িক সম্পর্ক, বাণিজ্য বাড়নোর সম্ভাবনা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভারতকে বাণিজ্যে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেওয়ার প্রসঙ্গটি নেই। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে পাক সরকার এখনও সরকারি ভাবে কিছুই জানায়নি। |