ডাকঘরে পোস্টাল অর্ডার না-মেলায় বিপাকে পড়েছেন ইসলামপুরের চাকরি প্রার্থীরা। আবেদপত্র হাতে নিয়ে এক ডাকঘর থেকে অন্য ডাকঘরে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে এলাকার যুবক-যুবতীদের। কিন্তু অনেক খোঁজ করেও মহকুমার কোথাও পোস্টাল অর্ডার মিলছে না। ওই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন গ্রামের চাকরি প্রার্থীরা। প্রতি বছর পাবলিক সার্ভিস কমিশন সহ বিভিন্ন দফতরের চাকরির বিজ্ঞপ্তি বার হয়। ওই সমস্ত বিজ্ঞপ্তি মত আবেদনপত্র তৈরি করে পরীক্ষার ফি হিসেবে ধার্য করা টাকা পোস্টাল অর্ডারে পাঠাতে ছেলেমেয়েরা মহকুমা ডাকঘরে যান। কিন্তু সেখানে পৌছতেই একটি কথা শুনতে হচ্ছে---আপাতত পোস্টাল অর্ডার নেই। কবে পাওয়া যেতে পারে? ওই বিষয়ে ডাকঘর কর্তৃপক্ষের কাছে স্পষ্ট কোনও উত্তর মিলছে না। পরিস্থিতি সামাল দিকে কখনও তাঁরা বলছেন কয়েকদিন পরে খোঁজ করুন। আবার কখনও বলছেন আমরা কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। চাকরি প্রার্থীদের কয়েকজন জানান, মাঝেমধ্যে হঠাৎ পোস্টাল অর্ডার মিললেও তা এমন সময় পাওয়া যায় কিছু করার থাকে না। ইসলামপুরের বাসিন্দা সুদীপ্ত ভৌমিক, মৃদুল দাস, অঙ্কিতা সাহা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য পোস্টাল অর্ডারের খোঁজে ডাকঘরে গিয়েছিলাম। ওঁরা বললেন এখন নেই। পরে আসবে। আবেদনপত্র পাঠানোর তারিখ ১৫ নভেম্বর। জানি না পরীক্ষায় বসতে পারব কিনা!” ইসলামপুরে পোস্টাল অর্ডার না পেয়ে অনেকেই ছুটছেন শিলিগুড়ি অথবা বিহারের কিসানগঞ্জে। নিরুপায় হয়ে কিছু চাকরি প্রার্থী ট্রেজারি চালান কাটছেন। পোস্টাল অর্ডারের সমস্যা নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডাকঘর কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, ডাকঘরে পোস্টাল অর্ডার থাকে। কিন্তু চাকরির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি বার হলে মহকুমার প্রচুর ছেলেমেয়ে ভিড় করেন। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে তা শেষ হয়ে যায়। ওই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। ইসলামপুর মহকুমা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অ্যান্ড কালেক্টর অশ্বিনীকুমার রায় বলেন, “খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।” |