উত্তরবঙ্গের একাংশে দীর্ঘদিনের সড়ক যোগাযোগ সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের নতুন তৃণমূল-কংগ্রেস জোট সরকার। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রের খবর, কোচবিহারের সিতাই ও দিনহাটাকে জুড়তে একটি এবং হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জকে জুড়তে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া, শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য একটি নতুন বাইপাস নির্মাণের সিদ্ধান্তও নিয়েছে রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে বুধবার জানা গিয়েছে, হলদিবাড়ি-মেখলিগঞ্জ সেতু নির্মাণের খরচ অনেক বেশি। প্রায় ২৭৬ কোটি টাকা। অত পরিমাণ টাকা রাজ্য সরকারের পক্ষে খরচ করা সম্ভব নয়। তাই রাজ্য সরকার চায় ওই টাকা যোজনা কমিশন দিক। এই ব্যাপারে যোজনা কমিশনের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তবে সিতাই-দিনহাটা সেতুটি নির্মাণের খরচ ওই পর্ষদ এবং পূর্ত দফতর যৌথ ভাবে দেবে বলে এখনও ঠিক হয়ে রয়েছে। ওই সেতু নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। ওই সেতু তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, জলপাইগুড়ি বাইপাসের খরচও ওই পর্ষদই বহন করবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরের খবর। সিতাই-দিনহাটা এবং হলদিবাড়ি-মেখলিগঞ্জ সেতু তৈরি হলে দুই ক্ষেত্রেই যাতায়াতের সময় প্রায় দু’ঘণ্টা করে বাঁচবে। এখন সিতাই থেকে কোচবিহার শহরে যেতে হলে নদী পেরিয়ে দিনহাটা গিয়ে সেখান থেকে সড়ক পথে অথবা মাথাভাঙা হয়ে যেতে হয়। সিতাই-দিনহাটা সেতু হয়ে গেলে সিতাই সরাসরি সড়ক পথে কোচবিহার শহরের সঙ্গে যুক্ত হবে। আর মেখলিগঞ্জ থেকে হলদিবাড়ি যেতে হলে এখন অনেক ঘুরে যেতে হয়। ফলে সময় বেশি লাগে। সেতু তৈরি হলে ওই দূরত্ব এবং সময় কমবে। পাশাপাশি, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি বাইপাসও নির্মাণ করতে চায় রাজ্য সরকার। শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার বর্তমান রাস্তাটি গত প্রায় চার বছর ধরে ভাঙাচোরা। ফলে শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি শহরে যেতে এখন দেড় থেকে দু’ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু চার বছর আগে লাগত এক ঘণ্টা। ওই বাইপাস হলে এই সমস্যা মেটার সম্ভাবনা আছে। গৌতমবাবু বলেন, “শিক্ষা এবং সড়ক যোগাযোগের উন্নতি মুখ্যমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গের সড়ক সমস্যা সহজে মেটানো যাবে বলে আমাদের আশা।” |