দলতন্ত্রের অভিযোগে কোচবিহারে সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, ওই দুই বাম শরিক দলের নেতাদের মুখে কারও বিরুদ্ধে দলতন্ত্রের অভিযোগ তোলা মানায় না। দিন কয়েক আগে ফরওয়ার্ড ব্লক দলীয় কর্মসূচিতে তৃণমূল এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে দলতন্ত্রের অভিযোগ তোলে। শরিক দলের ওই অভিযোগ নিয়ে পাল্টা সরব হয় সিপিএম। দুই শরিকের মধ্যে তা নিয়ে তরজা জমে ওঠে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলতন্ত্রের অভিযোগ তোলে সিপিএমও। এ বার শাসক দলের তোপ সামলাতে নিজেদের কাজিয়া ভুলে পাল্টা সমালোচনায় নেমেছে সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক। তা নিয়ে দুই শিবিরের চাপান উতোর বাড়ছে। গোটা ঘটনা নিয়ে এ দিন দুই শরিক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দলতন্ত্রের অভিযোগ তোলা বাম নেতাদের মুখে মানায় না। ওরা ফেলে আসা দিনগুলিতে নিজেদের ছবিগুলি মনে করলেই তা বুঝতে পারবেন। আমরা যোগ্য লোকদেরই বিভিন্ন কমিটিতে রাখছি। মানুষ পরিবর্তন চেয়েছেন সেটা ওরাও মেনে নিন।” সোমবার দিনহাটা মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ মন্তব্য করেন, রাজ্যে ক্ষমতা হাত বদল হলেও দলতন্ত্র একই রয়েছে। দিনহাটা কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য মনোনয়নে দলতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তুলে এ ভাবে সিপিএম এবং তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন তিনি। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বেনুবাদল চক্রবর্তী অবশ্য কলেজের পরিচালন সমিতির মনোনয়ন নিয়ে দলতন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। এমনকী যে দলের মন্ত্রী থাকেন তিনিই প্রতিনিধি ঠিক করেন বলে ফরওয়ার্ড ব্লকের বিরুদ্ধেও একই প্রশ্ন তোলায় দুই শরিকের কাজিয়া প্রকাশ্যে আসে। সেই সঙ্গে তৃণমূল গণতন্ত্র ধ্বংস করছে বলে বেনুবাদলবাবু অভিযোগ করেন। তৃণমূলের তোপের মুখে পড়ে শরিকি কাজিয়া ভুলে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে সরব হয়েছেন সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “দলতন্ত্রের পর ফের দলতন্ত্র কায়েম হলে পরিবর্তনটা কিসের? তা ছাড়া সিপিএম শিক্ষকদের দিনহাটা কলেজে প্রতিনিধি করেছিল। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের একজন তো স্কুলের গণ্ডিই পেরোয়নি।” বেনুবাদলবাবুর কথায়, “বাম জমানায় গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মানা হয়েছে। ৫ মাসের রাজত্বে তৃণমূল যা করেছে সেটা আয়নায় দেখলে ওরাই শিক্ষার ভবিষ্যত নিয়ে সর্বনাশা উদ্যোগের ছবি দেখতে পাবেন।” |