|
|
|
|
শুভেন্দু ফের চ্যালেঞ্জ দিলেন মাওবাদীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাওবাদীদের ‘ধাত্রীগৃহ’ বলে পরিচিত বেলপাহাড়িতে দাঁড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা আগে তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে দলের বিশেষ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শুভেন্দু আরও এক ধাপ এগিয়ে বললেন, “আমাদের নেত্রীর রাজনৈতিক আদর্শ ও উন্নয়নকে হাতিয়ার করে অস্ত্রমুক্ত পশ্চিমবঙ্গ হবে। শান্তি এবংউন্নয়নের পশ্চিমবঙ্গ করতে হবে। জঙ্গলে যে মাওবাদীরা আছে, তাদের আরও জঙ্গলে ঢুকিয়ে দিতে হবে!” ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ঘটনা হচ্ছে, এ দিন মমতা নিজে কিন্তু মাওবাদীদের নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি। এমনকী, ২৪ ঘণ্টা আগে বেলপাহাড়িতে দলীয় সভায় শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এসেছেন, এ দিন তিনিও জঙ্গলমহল নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। ভিড়ে-ঠাসা বেলপাহাড়ির সভায় মাওবাদীদের উদ্দেশে মুকুলবাবু বলেছিলেন, “মানুষকে না চমকে-ধমকে রাজনৈতিক লড়াই করুন।” শুভেন্দুও এ দিন কার্যত তার প্রতিধবনি করে বলেন, “মানবিক মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক আদর্শকে সামনে রেখে জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে আমাদের রাজনৈতিক প্রচার যেমন চলছে, তেমনই চলবে।”
বস্তুত, অস্ত্র সমর্পণের জন্য মাওবাদীদের কাছে যে আবেদন মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন, তাতে তারা সাড়া দেয়নি। বরং, সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে তারা মুখ্যমন্ত্রীর ‘আন্তরিকতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু মঙ্গলবার বেলপাহাড়িতে তাঁদের সভায় সাধারণ মানুষের বিপুল উপস্থিতিতে ‘উদ্বুদ্ধ’ শুভেন্দু এ দিন নেতাজি ইন্ডোরে বলেন, “সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বাংলার যুব সমাজ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। গণতান্ত্রিক সমস্ত ব্যবস্থাকে বামফ্রন্ট সরকার ধ্বংস করেছিল। আজকে মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলায় কর্মসংস্থানের যে ব্যবস্থা করেছেন, তাতে নতুন বাংলা গড়ে উঠবেই।”
শুভেন্দু জানান, তাঁদের রাজনৈতিক কর্মসূচি তো চলবেই, সেই সঙ্গে প্রশাসনকেও কড়া হাতে ‘মাওবাদীদের মোকাবিলা’ করতে হবে। এ দিনের সভার পরে জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি জানতে শুভেন্দুকে মহাকরণে ডেকেও পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
|
|
|
|
|