জঙ্গলমহলে রক্ষী দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন |
জঙ্গলমহলে তৃণমূলের বিধায়ক ও নেতাদের পরে এ বার মাওবাদী-বিরোধী সংগঠনের নেতাদেরও সশস্ত্র রক্ষী দিতে শুরু করল পুলিশ। ‘জনজাগরণ মঞ্চ’ নামে এমনই এক সংগঠনের একাধিক নেতাকে পুলিশি-নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের পাল্টা সন্ত্রাসের অভিযোগ আগেই উঠেছিল মঞ্চের বিরুদ্ধে। গত ২২ অক্টোবর মাওবাদী বন্ধের বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম শহরে তির-ধনুক, টাঙি-তলোয়ার নিয়ে মোটরবাইক মিছিল করে মঞ্চের লোকজন। তার পরেই মঞ্চের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ৩ অক্টোবর মাওবাদী রাজ্য সম্পাদক আকাশ বিবৃতিতে ‘জনজাগরণ মঞ্চ’কেই ‘তৃণমূলের ভৈরব-বাহিনী’ বলে উল্লেখ করে তাদের নিরস্ত্র করার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সিপিএমের ঝাড়গ্রাম (গ্রামীণ) জোনাল কমিটির সম্পাদক রবি সরকারের অভিযোগ, “তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ বলে প্রশাসনের সহযোগিতায় জনজাগরণ মঞ্চের লোকজনকে পুলিশি-রক্ষী দেওয়া হয়েছে। অথচ, আমাদের দলের অনেক নেতারই রক্ষী প্রত্যাহার করা হয়েছে।” আগে একাধিক খুনের ঘটনায় নাম জড়ানো লক্ষ্মীকান্ত বাস্কে (যিনি বর্তমানে মঞ্চের নেতা, আগে ছিলেন জনগণের কমিটিতে) কী ভাবে পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছেন, সে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম।”
|
আজ এসডিও, বিডিওদের সঙ্গে বসছেন মমতা |
প্রশাসনের একেবারে নিচু তলার কাছে নিজেদের বার্তা সরাসরি পৌঁছে দিতে চাইছে রাজ্যের নতুন সরকার। সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই আজ, বৃহস্পতিবার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) এবং মহকুমাশাসকদের (এসডিও) সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। টাউন হলে বেলা ১টায় ওই বৈঠক শুরু হবে। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেই গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের উপরে বিশেষ জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় উন্নয়নের কাজে গতি আনতেই ওই বৈঠকের ব্যবস্থা হয়েছে। সেই জন্য ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও মহকুমাশাসকদের পাশাপাশি একাধিক দফতরের সচিবেরাও বৈঠকে থাকবেন। তবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা আজকের বৈঠকে থাকছেন না। কারণ, খুব সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ওই তিনটি জেলায় গিয়েছিলেন। সেই সময়েই সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়ন নিয়ে জেলা প্রশাসনের সব স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
|
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত দিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তত দিন তাঁর সচিব পদে থাকতে পারবেন গৌতম সান্যাল। মঙ্গলবার রাজ্য সরকার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। মে মাসে রাজ্যে সরকার বদলের পর মুখ্যমন্ত্রীর সচিব পদে যোগ দেন গৌতমবাবু। তিনি সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট সার্ভিসের ক্যাডার। তাঁকে ‘ডেপুটেশন’-এ আনা হয়। কিন্তু গত ৩১ অক্টোবর চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন গৌতমবাবু। এর পরে রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীর সচিব পদেই তাঁকে পুনর্নিয়োগ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মমতা যত দিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, বা যত দিন গৌতমবাবু ওই পদে থাকতে চাইবেন, অথবা এই সংক্রান্ত পরবর্তী সরকারি নির্দেশ যখন জারি হবে এই তিনটির মধ্যে যেটি আগে হবে, সেটাই গৌতমবাবুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। |