বধূ নির্যাতন, গ্রেফতার তিন |
দু’টি বধূ নির্যাতনের মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার পুলিশ।
প্রতাপদিঘি গ্রামের বাসিন্দা রেবতী বিবি সম্প্রতি কাঁথি এসিজেএম আদালতে অভিযোগ জানান, অতিরিক্ত পণের দাবিতে স্বামী শেখ জসিমউদ্দিন ও শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। তাঁর এবং তাঁর তিন মেয়ের ভরণপোষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে রেবতীকে বিয়ে করেছিল জসিমউদ্দিন। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার এ বিষয়ে মামলা রুজু করে পুলিশ। বুধবার জসিমউদ্দিন ও তাঁর দাদা শেখ কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে, ক্ষেত্রপাল গ্রামের বাসিন্দা দীপালি পণ্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী শক্তিপদ পণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে বিয়ে হয়েছিল দু’জনের। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে দীপালিদেবীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
|
সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ চাষিদের |
সারের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলা জুড়ে আন্দোলনে নামছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন। সগঠনের জ়েলা সম্পাদক নন্দ পাত্র জানান, আগামী ৪ নভেম্বর জেলা জুড়ে পথ অবরোধ করবেন তাঁরা। এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। পরিষদের জেলা সম্পাদক নারায়ণ নায়ক বলেন, “গত মরসুমে চাষ করেও নায্য দাম পাননি চাষিরা। এ বার রবি মরসুমের মুখে সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে চাষিদের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম।” নারায়ণবাবুর মতে, ২০১০ সালের মার্চ মাসের তুলনায় ইউরিয়া ছাড়া বাকি সব সারের দাম ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর মার্চে যে ডিএপি সারের দাম কিলোগ্রাম প্রতি ৯.৭০ টাকা ছিল, এখন তার দাম কিলোগ্রাম প্রতি ১৮.৮৩ টাকা। একই ভাবে এনপিকে (১০:২৬:২৬) ৭.৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ১৭.৪৮ টাকা, পটাশ ৪.৬০টাকা থেকে বেড়ে ৫.৬০ টাকা, ইউরিয়া ৫.০১ টাকা থেকে বেড়ে ৫.৫৬ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বীজধান, বিদ্যুৎ, ডিজেল সবেরই দাম বেড়েছে। প্রসঙ্গত, বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগে ১৬ জন সার বিক্রেতাকে ‘সাসপেন্ড’ ও ১৩৮ জনকে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে বলে জেলা কৃষি উপ-অধিকর্তা ধীরেন্দ্রনাথ মান্না জানিয়েছেন। এ দিকে, চাষিরা ধানের যথাযথ দাম পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ তুলেছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ এবং কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন। অভিযোগ, সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে ধান না কিনে ফড়েদের মাধ্যমে ধান কিনছেন চালকল মালিকরা। এর প্রতিবাদেও জেলা জুড়ে আন্দোলনে নামতে চলেছেন কৃষকেরা।
|
ছোট আঙারিয়া মামলার চার্জগঠন হতে পারে আগামী ১৪ নভেম্বর। আদালত সূত্রেই এই খবর জানা গিয়েছে। বুধবার মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে মামলার চার্জগঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থার কারণে সিবিআইয়ের আইনজীবী তাপস বসু এ দিন আদালতে আসতে পারেননি। ভারপ্রাপ্ত বিচারক শুভেন্দু সামন্তর কাছে সময় চেয়ে ‘পিটিশন’ দাখিল করে সিবিআই। অভিযুক্ত-পক্ষের আইনজীবী তার বিরোধিতা করে বলেন, “অযথা সময় নষ্ট করা হচ্ছে”। দু’পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখে ১৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারক। ওই দিনই এই মামলার চার্জগঠন হওয়ার কথা। রাজ্যে পালাবদলের পরে গত মে মাসে ধরা পড়েন এই মামলায় এক দশক ধরে ‘ফেরার’ হয়ে থাকা গড়বেতার সিপিএম কর্মী দিল মহম্মদ। তার পরেই ধামাচাপা পড়া মামলা নতুন মোড় নেয়। ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি ছোট আঙারিয়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার ঘটনা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ইতিমধ্যে দিল মহম্মদকে চার্জশিটও দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থা।
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করলেন ‘অধ্যাপক সংহতি-মঞ্চে’র সদস্যরা। দেবাশিস আইচ, অভিজিৎ দে, তুহিনকান্তি দাস, হিমাংশু হাজরাদের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল বুধবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অধীনস্থ কলেজগুলির পরিকাঠামো ও পঠনপাঠনের মানোন্নয়নে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। দেবাশিসবাবু বলেন, “এ দিনের সাক্ষাৎ একান্তই সৌজন্যমূলক। পরে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেব।”
|
কেশিয়াড়িতে বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগ |
এক বৃদ্ধকে খুন করার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানা এলাকার খেজুরকুঠি গ্রামে। মৃতের নাম বনমালী বরম (৬২)। মঙ্গলবার রাতে হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তবে কারা, কী কারণে এই খুন করেছে তা জানতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বনমালীবাবুর বাড়ি নারায়ণগড় থানা এলাকার পারিজাতপুরে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাইকেলে হাটে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে আক্রান্ত হন।
|
মাওবাদী স্কোয়াড-সদস্য সন্দেহে বুধবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামের ঘৃতখাম থেকে এক যুবককে ধরল যৌথ বাহিনী। ঝাড়গ্রাম পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম প্রশান্ত মাহাতো ওরফে বাঁকা। ২০-২১ বছরের এই যুবকের বাড়ি ঝাড়গ্রামেরই জারুলিয়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, হামলা ও নাশকতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। আজ, বৃহস্পতিবার প্রশান্ত মাহাতোকে ঝাড়গ্রাম আদালতে হাজির করা হবে। |