|
|
|
|
আদালতের নির্দেশনামায় কারচুপির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
জেলা আদালতের বিচারকের নির্দেশনামায় কারচুপি করে জেলবন্দি একাধিক জনকে অন্যায় ভাবে জামিনে মুক্ত করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘাটালের এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আদালত ও ঘাটাল এসিজেএম আদালতে। অভিযুক্ত আইনজীবী দেবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সাফাই, “মুহুরির কথায় কিছু না দেখেই আদালতে আবেদনের কাগজে সই করেছিলাম। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।”
পুলিশ ও আদালত সূত্রের খবর, গত ৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্রকোনা থানার মাংরুলে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই বধূকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বধূর বাপের-বাড়ির সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শ্বশুরবাড়ির পাঁচ জনের নামে খুন, বধূ নির্যাতনের মামলা শুরু করে (কেস নং ১৪৩/১১, ঘাটাল মহকুমা আদালতের জিআর নং ২৯২/১১)। ঘটনার পরেই অবশ্য বেপাত্তা হয়ে যায় ওই বধূর স্বামী, দেওর-সহ অন্য অভিযুক্তরা। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অভিযুক্তরা ঘাটাল এসিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। গত ১৮ অক্টোবর পূজাবকাশের মধ্যে জেলা দায়রা বিচারকের এজলাসে জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী। ভারপ্রাপ্ত জেলা দায়রা বিচারক বধূর শাশুড়ি জ্যোৎস্না পালুইয়ের জামিনই শুধু মঞ্জুর করেন। বাকি ৪ জনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। কিন্তু জেলা বিচারকের নির্দেশনামায় কারচুপি করে এর পর ঘাটাল আদালতে ভুল নথি পেশ করা হয় এবং সেই সূত্র ঘাটাল সংশোধনাগার থেকে ৫ অভিযুক্তই ছাড়া পেয়ে যান। পূজাবকাশের পর বুধবারই প্রথম বিষয়টি নজরে আসে সরকারি আইনজীবী বৃষকেতু সামন্ত’র। তিনি বলেন, “ওই দিন এক জনের জামিন মঞ্জুর হয়েছিল। অথচ ৫ জনেরই জামিন হয়েছে দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছি। এ তো আদালতের সাথেই প্রতারণা।” এর পরেই শোরগোল পড়ে যায় জেলার বিচার-মহলে। সন্ধ্যায় আদালতের অফিসার ও অন্য কর্মীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন ঘাটালের এসিজেএম। আজ, বৃহস্পতিবার এ নিয়ে এসিজেএম নির্দেশ দিতে পারেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|