শিল্পশহরে জগদ্ধাত্রী পুজো
বাজেট ছেঁটে সমাজসেবায় নজর
ণ্ডপসজ্জা এবং প্রতিমায় বৈচিত্র্য তো থাকেই। এ বার না হয় পুজোর খরচ থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করা যাক।
হলদিয়ার বেশিরভাগ জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির এ বার এই একটিই লক্ষ্য। সে জন্য কি ‘থিমপুজো’ হবে না! তাই কোথাও চন্দননগরের আলোকসজ্জা, কোথাও আবার প্রতিমায় নতুনত্বের ছোঁয়া। সব মিলিয়ে পুজোর বাজেটে রদবদল করে সমাজসেবামূলক কাজে এগিয়ে এসেছে পুজো কমিটিগুলি।
এ বার মহিষাদলের রঙ্গিবসান পশ্চিমপল্লির মেগাস্টার ক্লাবের পুজো ১৮ বছরে পা দিল। প্রতিবারের মতো এ বারেও মণ্ডপ নয় প্রতিমাতেই থিমের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। বাঁশপাতা দিয়ে ১০ ফুটের সিংহবাহিনী প্রতিমা গড়েছেন স্থানীয় চন্দন সেনাপতি। মণ্ডপ সাবেকি। শেষদিনে থাকছে দুঃস্থদের বস্ত্রবিতরণ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বই-খাতা ও আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠান। এ ছাড়া নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। পুজো কমিটির সভাপতি মহাদেব সাঁতরা বলেন, “প্রতিবছরের মতো এ বারও পংক্তিভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
তেঁতুলবেড়িয়া মণ্ডপের ছবিটি তুলেছেন আরিফ ইকবাল খান।
শ্রীকৃষ্ণপুরের আপনজন ক্লাবের পুজো বাজেটের বেশীরভাগই সমাজসেবায় কাজে ব্যয় হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে আয়োজন করা হয়েছে বস্ত্রদান ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবিরের। এ ছাড়া থাকছে সামাজিক চেতনাবৃদ্ধি করতে ক্রেতা সুরক্ষা ও কৃষি সংক্রান্ত আলোচনাচক্র। এত কিছু হলেও প্রায় ৬০ ফুটের সাদা কাপড়ের ওপর থার্মোকলের কাজ, চন্দননগরের আলোকসজ্জা ও প্রতিমার অলঙ্করণে চন্দননগরের সাবেকি ভাব মানুষের নজর কেড়েছে। শ্রীকৃষ্ণপুর ক্লাব সম্পাদক অভিজিৎ দাস বলেন, “এই পুজো ১৯৭৮ সাল থেকে হচ্ছে। এ বার পুজোর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী।” আবার গেঁওখালি বাজারের ইয়ুথ স্কোয়ারের পুজোর প্রতিমা এ বার সাবেকি হলেও মণ্ডপে থাকছে থিমের ছোঁয়া। প্রায় ৪০ ফুটের চটের মূল মণ্ডপের ওপর চাঁচ ও কুলো দিয়ে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। ক্লাব সদস্য সাহেনশা খান জানান, পুজোর পর ডিসেম্বর মাসে বস্ত্রবিতরন, রক্তদান শিবির ও ছাত্রছাত্রীদের বইখাতা বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তবে পুজোর শেষ দিনে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ দিকে, কুকড়াহাটি সম্প্রীতি সঙ্ঘের পুজোর আগেই আয়োজন করা হয়েছে ফুটবল, ক্যারাম-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার। শুক্রবার প্রভাতফেরীর মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধন হবে। শেষদিনে থাকছে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। ওই দিনই দুঃস্থদের বস্ত্র এবং ছাত্রছাত্রীদের বইখাতা দানের ব্যবস্থা থাকছে। তবে এই পুজোর প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জায় কোনও খামতি থাকছে না। সাবেকি প্রতিমা। মাটির তৈরি মণ্ডপে মন্দিরের আদলে ভাস্কর্য ফুটে উঠেছে। থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। ক্লাব সভাপতি মতিলাল হাজরা বলেন, “মূলত খুব কম বাজেটের পুজোয় সমাজসেবামূলক কাজ করার চেষ্টা করি। এ বার পুজোর উদ্বোধনে আসবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী পুজোর শেষদিনে আসবেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।” এ ছাড়া, মঞ্জুশ্রীর কাছে গিরিশ মোরে স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পুজোয় তিরিশ ফুটের মণ্ডপে রয়েছে থার্মোকলের কাজ। ক্লাবের সদস্য রাজেশ দাস বলেন, “মণ্ডপ ও প্রতিমাসজ্জায় খরচ না করে এ বার সমাজসেবামূলক কাজে নজর দেওয়া হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.