মেদিনীপুর শহরে মহামিছিল
সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পথে বামফ্রন্ট
শেষমেশ পথেই নামল বামফ্রন্ট। ‘সন্ত্রাস’, ‘মূল্যবৃদ্ধি’ ও ‘দুর্নীতি’র প্রতিবাদে।
একদা ‘লাল-গড়’ ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। জেলার অধিকাংশ এলাকাতেই একাধিপত্য ছিল সিপিএমের। ‘পরিবর্তনের ঝড়ে’ এখন সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। কেশপুর, গড়বেতার মতো এলাকাতেও সিপিএমের দাপুটে নেতা-কর্মীরা ঘরছাড়া। দলীয় কর্মীদের উপর চাপ উত্তরোত্তর বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে শেষমেশ পথে নামলেন বাম নেতৃত্ব। ‘সন্ত্রাসের প্রতিবাদে’ বুধবার জেলা বামফ্রন্টের উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরে হয় ‘মহামিছিল’। বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে জেলা বামফ্রন্টের সর্ববৃহৎ জমায়েত দেখল শহর।
নিজস্ব চিত্র।
দলের অন্দরে ফ্রন্টের ঘোষণা ছিল, প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জমায়েত করতে হবে। মিছিলের লোকসংখ্যা তার ধারেপাশে গিয়েছে কি না, সে নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে মিছিল যে সাড়া জাগিয়েছে, তা নিয়ে বিতর্কের জায়গা নেই। জেলা তৃণমূলের এক নেতা আবার সে প্রসঙ্গ টেনেই যুক্তি সাজিয়েছেন, “জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওদের কর্মী-সমর্থকেরা এসেছেন। জমায়েত ভাল হতেই পারে। কর্মীদের এই অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, কোথাও সন্ত্রাসের আবহ নেই।”
অথচ রাজ্যের নতুন শাসকদলের ‘সন্ত্রাসে’র বিরুদ্ধেই ছিল এ দিনের কর্মসূচি। বামেদের অভিযোগ, জেলা জুড়ে তৃণমূলের লোকজন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। কর্মী-সমর্থকেরা সন্ত্রস্ত। অবস্থা এমনই যে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য জেলার অধিকাংশ এলাকায় বুথ এজেন্টই খুঁজে পায়নি বামেরা। ক’দিন আগে এ নিয়ে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অনুযোগ জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। এই অবস্থায় দলকে চাঙ্গা করতে দলের অন্দরেই পথে নামার দাবি উঠছিল। তপন ঘোষ-সুকুর আলি’র মতো নেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন। অনুজ পাণ্ডে, এন্তাজ আলি’র মতো নেতারা গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে বেরাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ‘মহামিছিল’ সংগঠিত করাই সিপিএমের কাছে ‘চ্যালেঞ্জ’ ছিল।
এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ মেদিনীপুর শহরের কলেজ মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। মিরবাজার, ছোটবাজার, স্কুলবাজার, বটতলা-চক সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত পরিক্রমা করে মিছিল। নেতৃত্বে ছিলেন দীপক সরকার। ছিলেন সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা-সহ শরিক দলের নেতারাও। মিছিল যখন মাঝপথে, তখনও মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হয়েছেন।
ক’দিন আগে জেলায় এসে দলেরই এক সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ মুকুল রায় মন্তব্য করেছিলেন, “জল পচে গেলে যেমন মাছ বাঁচতে পারে না, তেমনই মানুষ সঙ্গে না থাকলে সরকার বাঁচবে না। মানুষকে সঙ্গে রাখতে গেলে মজবুত সংগঠন জরুরি।” বুধবারের মিছিলের পর সেই প্রসঙ্গ টেনে জেলা সিপিএমের এক নেতা বলেন, “জল যে একেবারে পচেনি, এ দিনের মিছিলে জনস্রোতই তার প্রমাণ।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.