নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুম্বই এফসি-১ (কুট্টিমণি)
ইস্টবেঙ্গল-৪ (সঞ্জু, টোলগে, ভাসুম, গাও) |
৬৮ মিনিট পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে ০-১। মনে হচ্ছিল, মারগাওয়ের মতো পুণেতেও মুখ পুড়বে কলকাতার বড় ক্লাবের। ওই সময়ই দুর্দান্ত শটে গোল করলেন সঞ্জু প্রধান। এবং সেটাই ম্যাচটার মোড় ঘুরিয়ে দিল পুরোপুরি।
বলা যায় ২২ মিনিটের ঝড়। দু’মিনিট পরে টোলগের ২-১। ৮২ মিনিটে ভাসুমের ৩-১। ইনজুরি টাইমে অ্যালান গাওয়ের ৪-১। প্রতিটি গোলই দুর্দান্ত। গাও কত ভাল ফ্রি কিক নিতে পারেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেল ইনজুরি টাইমে। নিখুঁত গোল।
এর চেয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন আর হয় না। ইস্টবেঙ্গল কোচ মর্গ্যান নানা দিক থেকে চাপে ছিলেন। এই জয় তাঁকে আবার স্বস্তির মধ্যে এনে দিল। বুধবার পুণেতে ইস্টবেঙ্গল প্রথম দিকে একেবারে ভাল খেলতে পারছিল না। পেনের বদলে গাওকে দিয়ে শুরু করেছিলেন মর্গ্যান। মেহতাবহীন, পেনহীন দলে মাঝমাঠ বলে কিছু ছিল না। এই সুযোগে কুট্টিমণি ৩৩ মিনিটে গোল করে যান। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স তখন বেশ নড়বড়ে।
গোল খাওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গলের সম্বিত ফেরেনি। খুব সাদামাঠা হচ্ছিল খেলা। দুই বিদেশি টোলগে এবং গাওয়ের পায়ে বল পড়লে কিছুটা চমক তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু মাঝমাঠের ব্যর্থতা বারবার চোখে পড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে মর্গ্যানের হাতে একটাই অস্ত্র রয়েছে। পেন ওর্জি। দুটো পরিকল্পনাই রয়েছে। দল পিছিয়ে পড়লে পেনকে নামানো হবে ওপারাকে বসিয়ে। দল এগিয়ে থাকলে পেনকে নামানো হবে গাও বা টোলগের জায়গায়।
এ দিন আধ ঘণ্টা বাকি থাকতে ওপারাকে বসিয়ে গুরিন্দরকে নামানো হল, সুবোধকে বসিয়ে নামানো হল পেনকে। আক্রমণে লোক বাড়ল। তার পরে ইস্টবেঙ্গলকে আর আটকানো যায়নি।
এই জয়ের পরে ১২ নম্বর থেকে ৬ নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। মর্গ্যান ও তাঁর দুই প্রিয় ছাত্র টোলগে ও গাও কিন্তু মনোবলের দিক দিয়ে আরও বড় জায়গায়। এই প্রথম তাঁরা গোল পেলেন এ বারের আই লিগে। মর্গ্যান আশাবাদী, দল এ বার অন্য আত্মপ্রত্যয় নিয়ে খেলবে। ইস্টবেঙ্গল: গুরপ্রীত, নওবা, ওপারা (গুরিন্দর), নির্মল, রবার্ট, ভাসুম, সুবোধ (পেন), হরমনজিৎ (সঞ্জু), গাও, বলজিৎ, টোলগে। |