|
|
|
|
উৎসব শেষ, নামমাত্র বরাদ্দে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু দুই শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুজো শেষ হতেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হতে চলেছে মেদিনীপুর, খড়্গপুর দুই শহরেই। রেলশহর খড়্গপুরে ইতিমধ্যেই কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্ষায় দুই শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেহাল হয়েছে। তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এই অবস্থায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তাগুলি সংস্কারের কাজ শুরু না-হওয়ায় শহরবাসীর মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি বুঝেই তড়িঘড়ি সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে। তবে দুই পুরসভাই জানাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব রয়েছে। ফলে, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিই আগে সংস্কার করা হবে। পরে শহরের অন্য ‘বেহাল’ রাস্তাগুলির হাল ফেরানো হবে।
খড়্গপুরের পুরপ্রধান জহরলাল পাল বলেন, “পুজোর আগেই শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিই সংস্কার করা হবে। শহরবাসী যাতে সমস্যায় না-পড়েন, সে দিকে নজর রেখেই কাজ করা হচ্ছে।” শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা তড়িঘড়ি সংস্কার করা প্রয়োজন মেনেই মেদিনীপুরের উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে। তবে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া গিয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। বাড়তি অর্থ চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করা হয়েছে।”
কাঁসাইয়ের দু’দিকের দুই শহর এখন দ্রুত বদলাচ্ছে। আশপাশে নতুন নতুন বসতি গড়ে উঠছে। বাড়ছে জনসংখ্যা। ফলে, দুই শহরেই যানজট, নিকাশি, বেহাল রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যা বাড়ছে। বর্ষায় জল জমে মেদিনীপুর, খড়্গপুরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। পথচলতি মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। মেদিনীপুরের শরৎপল্লি, রাজাবাজার, সিপাইবাজার এলাকার রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। পাড়ার ভিতরের রাস্তাগুলির হাল আরও খারাপ। একে সংকীণর্র্ রাস্তা, তাতেও গর্ত তৈরি হওয়ায় শহরবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে রাতে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। খড়্গপুরেও একই পরিস্থিতি। শহরের মালঞ্চ, ইন্দা, কৌশল্যা, পুরাতন বাজার এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভা সূত্রের খবর, মেদিনীপুর শহরের ২৪টি ওয়ার্ডের ‘বেহাল’ রাস্তাগুলি সংস্কারের জন্য ক’দিন আগেই একটি পরিকল্পনা তৈরি হয়। পুর-কর্তৃপক্ষ হিসাব করে দেখেন, রাস্তাগুলির হাল ফেরাতে ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এই পরিমাণ অর্থ চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে দরবারও করা হয়। ক’দিন আগেই কলকাতায় গিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করেন মেদিনীপুরের উপ-পুরপ্রধান। কিন্তু, রাজ্য সরকার আপাতত মাত্র ৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। উপ-পুরপ্রধানের কথায়, “প্রয়োজনের তুলনায় কম অর্থই বরাদ্দ হয়েছে। তাই শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির সংস্কার কাজই শুরু করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ কাজ শুরুর চেষ্টাই চলছে।” খড়্গপুরে আবার পুজোর আগেই বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ ওয়ার্ড-পিছু ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ অর্থের বেশিটাই রাস্তা সংস্কারের জন্য ব্যয় হবে। |
|
|
|
|
|