|
|
|
|
দুর্ভোগ-মুক্তির ভরসা ‘প্রতিকার’ এর খসড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
যথাযথ আবেদন জানিয়েও সময়ে নাগরিক পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না? অথবা সময়ে পরিষেবা পেতে হলে ঘুষ দিতে হচ্ছে অধস্তন কর্মচারী থেকে শুরু করে সরকারি দফতরের বড়বাবুকে? আমলাতন্ত্রের নিচু স্তরের অকর্মণ্যতা ও দুর্নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের এমনই নানা অসন্তোষের প্রতিকারের লক্ষ্যে এ বার নয়া আইন আনছে মনমোহন সিংহ সরকার। ‘অভিযোগ-প্রতিকার-অধিকার’ নামে ওই বিলের খসড়া আজ প্রকাশ করা হয়েছে সরকারের তরফে। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাশ করাতে চাইছে সরকার।
কী রয়েছে ওই বিলে? প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের প্রতিমন্ত্রী তথা কর্মিবর্গ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী জানান, এই বিলের আওতায় পঞ্চায়েত, পুরসভা, পুলিশ-সহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সব দফতরকে বাধ্যতামূলক ভাবে নাগরিক সনদ প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ তাদের আওতায় কোনও পরিষেবা পেতে গেলে কত দিন সময় লাগবে, তা স্পষ্ট ঘোষণা করতে হবে। যেমন, বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থাকে জানাতে হবে, আবেদন জানানোর কত দিনের মধ্যে তারা কোনও ব্যক্তির বাড়িতে বা অফিসে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে পারবে। যথাযথ ভাবে আবেদন জানিয়েও সেই সময়ের মধ্যে কোনও ব্যক্তি পরিষেবা না পেলে বা ওই পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর কাছে অনায্য ভাবে টাকা চাওয়া হলে তিনি অভিযোগ জানাতে পারবেন। এর জন্য পঞ্চায়েত পুরসভা-সহ সব সরকারি দফতরে এক জন করে ‘অভিযোগ প্রতিকার’ আধিকারিক থাকবেন। লিখিত ভাবে, ফোনে বা এসএমএসে তাঁর কাছে অভিযোগ জানানো যাবে।
অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই আধিকারিক তার ‘প্রাপ্তি স্বীকার’ করতে বাধ্য থাকবেন। তার পর ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের সুরাহা করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে দোষী কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে হবে। অভিযোগ যদি ভিত্তিহীন মনে হয়, তা হলে তার কারণও দেখাতে হবে। কিন্তু সময়সীমা ওই ১৫ দিন। তার মধ্যে অভিযোগ সুরাহা করতে না পারলে অভিযোগ প্রতিকার আধিকারিকেরই জরিমানা হবে। |
|
|
|
|
|