|
|
|
|
ইংল্যান্ড থেকে পাইলটদের ফেরাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বোয়িং ৭৮৭ ‘ড্রিমলাইনার’ বিমানের প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার আগেই ইংল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের। গত এক সপ্তাহ ধরে এই বিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
কর্তৃপক্ষ চাইছেন, এই প্রশিক্ষণে আগের এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে বিমান চালানো পূর্বতন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের পাইলটরাও থাকুক। এতেই আপত্তি পূর্বতন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের। তাঁদের দাবি, ‘ড্রিমলাইনার’ কেবলমাত্র তাঁদের পাইলটদের দিয়েই চালাতে হবে। কারণ ২০০৫ সালে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইপিজি-র চুক্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক রুটে আধুনিক যে সব বিমান আনা হবে, তা চালাবেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটেরাই। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের সংগঠন, আইপিজি (ইন্ডিয়ান পাইলটস গিল্ড)-র। কর্তৃপক্ষের যুক্তি, এই চুক্তির পরে ২০০৭ সালে দু’টি সংস্থাকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে, একই সংস্থার পাইলটদের মধ্যে এই বিভেদ থাকাটা বাঞ্ছনীয় নয়।
সরকারি ভাবে বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে অবশ্য বুধবার বলা হয়েছে, শীতকালে বিমান চালানোর সময়ে কুয়াশার সমস্যা দেখা দেয়। তাই, সেই সময়ে দেশে আরও বেশি পাইলট থাকা প্রয়োজন। আজ, বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে ‘ড্রিমলাইনার’-এর প্রশিক্ষণ থেকে তাই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ১৬ জন পাইলটকে। সংস্থার মুখপাত্র এ দিন বলেন, “প্রশিক্ষণের সময় এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।” কিন্তু, সংস্থা সূত্রে খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের আপত্তির কারণে এই বিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। তাই আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে প্রশিক্ষণ।
সংস্থা সূত্রে খবর, এই বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ‘ড্রিমলাইনার’ বিমান ভারতে আসার কথা। সব মিলিয়ে ২৭টি এই ধরনের বিমান কিনছে এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু, সংস্থার আর্থিক মন্দার জন্য সেই সংখ্যাটি কমে ১৪-ও হতে পারে। অত্যাধুনিক এই বিমান গত মাসেই প্রথম আকাশে উড়তে শুরু করেছে। জাপানের একটি বিমান সংস্থা সেই বিমান চালাচ্ছে। |
|
|
|
|
|