টুকরো খবর |
চিন সীমান্তে সেনা বাড়াবে ভারত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সীমান্ত নিয়ে দফায় দফায় আলোচনার পাশাপাশি বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াতে নতুন নীতি নিল নয়াদিল্লি। ঠিক হয়েছে, সীমান্তে এবং ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে চিন সক্রিয়তা বাড়ালে ভারতও এ বার পাল্টা সক্রিয় হবে। দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে চিন সীমান্ত বরাবর বাড়তি এক লক্ষ সেনাও মোতায়েন করা হচ্ছে। আপাতত পাঁচ বছর এই বাড়তি সেনা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।বস্তুত ১৯৬২-তে চিনের সঙ্গে যুদ্ধের পর গত পাঁচ দশকে সীমান্তে এমন বিপুল হারে সেনা বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্তটিও হঠাৎ নেওয়া হয়নি। গত দু’বছর ধরে চিনের কূটনৈতিক কার্যকলাপের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, একমাত্র উষ্ণায়ন নিয়ে সুর মেলানো ছাড়া চিনের পক্ষ থেকে কোনও আন্তর্জাতিক বা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বার্তা পাওয়া যায়নি। বরং দলাই লামা থেকে অরুণাচলপ্রদেশ সমস্ত বিষয় নিয়েই ভারতের কড়া বিরোধিতা করে গিয়েছে বেজিং। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার টেবিলে অনেক বিষয়েই ঐকমত্য প্রকাশ করেন চিনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যায় না বলেই অভিযোগ বিদেশ মন্ত্রকের কর্তাদের। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আরও বেশি করে ভারতীয় পণ্য বাজারজাত করার অনুরোধও এখনও রাখেনি বেজিং। চিনা অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তের অদূরে চিনা সামরিক পরিকাঠামো তৈরির বিষয়টিও দীর্ঘদিন ধরেই চাপে রেখেছিল ভারতকে। সিদ্ধান্ত হয়, পাল্টা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ৬৪ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সামরিক ব্যবস্থার সার্বিক আধুনিকীকরণের জন্য। ভারত-চিন সীমান্তে চারটি নতুন ডিভিশন তৈরির সিদ্ধান্তও হয়েছে।
|
মানব সম্পদ উন্নয়নে ভারত ১৩৪ স্থানে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মানব সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে ১৮৭টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৩৪। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তান ১৪৫ এবং বাংলাদেশ ১৪৬ স্থানে রয়েছে।
২০১০ সালের রিপোর্টে ১৬৯টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ছিল ১১৯। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে জানানো হয়েছে নতুন রিপোর্ট অনেক নিখুঁত। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মানের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি দেশকেও তালিকায় আনা হয়েছে।
|
জোশীর চিঠিই অস্ত্র কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
টু জি স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে যখন কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে তৎপর বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর জোশী, তখন তাঁরই একটি চিঠি প্রকাশ করে পাল্টা চাপ দিল কংগ্রেস। চার বছর আগে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে লেখা ওই চিঠিতে জোশী বলেছিলেন, স্পেকট্রাম যেন কোনও ভাবেই নিলাম করা না হয়। নিলাম হলে মুষ্টিমেয় কিছু বেসরকারি টেলিকম সংস্থা তা কিনে নিয়ে একচেটিয়া কারবার শুরু করবে। তাতে সাধারণ মানুষ যেমন অসুবিধায় পড়বে তেমনই বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-এর মতো রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাগুলোর সঙ্কট অনিবার্য হয়ে উঠবে। টু জি স্পেকট্রাম কেন নিলাম করা হয়নি, তা নিয়েই মূলত প্রশ্ন তুলেছে সিএজি। তাদের বক্তব্য, নিলাম না করায় সরকারের ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এক বছর ধরে কেন্দ্রকে চেপে ধরেছে বিজেপি। একই ভাবে ওই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে তৎপর স্বয়ং জোশী।
|
দিল্লিতে গান-চিত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ছ’শো বছরের বাংলা গান! সেই চর্তুদশ শতকের বিদ্যাপতি থেকে হালফিলের সলিল চৌধুরী। সম্প্রতি রাজধানীর এক প্রেক্ষাগৃহে ধরা হল এই বিস্তীর্ণ গান-সময়কে। বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটিতে ছিল পুরনো গান, তার ইতিহাস বর্ণনা এবং ভাষ্যপাঠ। পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উপঅধিকর্তা উল্লাস চট্টোপাধ্যায় ছিলেন গোটা অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনায়।
|
আলফা নেতা গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
আলফার আলোচনাপন্থী নেতা জিতেন দত্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার হলেন তিনি। শান্তি আলোচনার জন্য জিতেন দত্তর নেতৃত্বেই আলফার একাংশ ২০০৮ সালে প্রথম সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করে। ‘আলোচনাপন্থী আলফা’ নাম নিয়ে সরকারের সঙ্গে প্রথম শান্তি আলোচনা শুরুও করেন জিতেন দত্ত, মৃণাল হাজরিকা ও প্রবাল নেওগ। জিতেনের নামে অস্ত্র আইনে ও টাডা আদালতে চারটি মামলা রয়েছে। কিন্তু বারবার সমন পাঠানো সত্ত্বেও তিনি সমন অগ্রাহ্য করেন। গত কাল আদালতে এসে জিতেন আত্মসমর্পণের আবেদন জানালেও আদালত তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়।
|
পুলিশ অফিসার আত্মঘাতী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অসম পুলিশ রিজার্ভ ফোর্সে কম্যান্ডান্ট পদে কর্মরত চন্দ্র বসুমাতারি নিজের দফতরের সামনেই আত্মহত্যা করলেন। কাল রাতে উলুবাড়িতে, দফতরের সামনে গুলির শব্দ শুনে প্রহরীরা গিয়ে দেখেন, নিজের সার্ভিস পিস্তল থেকে মাথায় গুলি চালিয়েছেন বসুমাতারি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
|
ডাইনি অপবাদে হত্যা দম্পতিকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ডাইনি অপবাদ দিয়ে ফের হত্যার ঘটনা ঘটল অসমে। এ বার ঘটনাস্থল বাক্সা জেলা। পুলিশ জানায়, বৃদ্ধ শরৎ বসুমাতারি ও তাঁর স্ত্রী তেলি বাক্সার নতুন বেদবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে থাকতেন। কাল রাতে দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। মাথা ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে দু’জনকেই হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকারীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে তাদের সন্দেহ, ডাইনি অপবাদেই এই হত্যা।
|
জগনকে সমন |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
খনি কেলেঙ্কারি নিয়ে জেরা করতে সাংসদ জগন্মোহন রেড্ডিকে সমন পাঠাল সিবিআই। কর্নাটকে খনি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত রেড্ডি ভাইদের সঙ্গে জগনের যোগ নিয়ে তদন্তের জেরেই তাঁকে জেরা হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। রেড্ডিদের সংস্থা ওবুলাপুরম মাইনিং কোম্পানি অন্ধ্রের অনন্তপুরম জেলাতেও খনি সংক্রান্ত আইন ভেঙেছে বলে অভিযোগ। অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির মন্ত্রিসভার কয়েক জনকেও জেরা করেছে সিবিআই। |
|