চার দিন ধরে বিহার মেতেছিল ছট উৎসবে। গোটা রাজ্য জুড়েই নদীর ঘাট এবং জলাশয়গুলি ঘিরে ছিল পুণ্যার্থীদের ভিড়। উপবাসের অন্তে স্নান সেরে সূর্য দেবতার উদ্দেশে অর্ঘ্য নিবেদন করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ঘরে ঘরে বানানো হয় ঠেকুয়া। গান-বাজনা, ফল ও মিষ্টি বিতরণ, নতুন সাজপোশাক পরে শোভাযাত্রাএ সবই ছিল উৎসবের অঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যবাসীকে ছটের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “ছট উৎসব বিহারের নিজস্ব পরিচয় বহন করে। শুধু বিহার নয়, দিল্লি-মুম্বই-কলকাতার মতো বড় শহরতো বটেই, ভারতের প্রায় সব রাজ্যে, এমনকী লন্ডনেও এখন এই উৎসব পালিত হয়। ছট প্রত্যেক বিহারির গর্বের বস্তু।” |
উৎসবের আবেশেও শোকের ছায়া ফেলেছে কয়েকটি দুর্ঘটনা। দু’টি স্থানে নদীতে ডুবে মৃত্যু ঘটেছে চার পুণ্যার্থীর। আর পটনার খুশরুপুর ও কঙ্করবাগ এলাকায় পথ দুর্ঘনায় মারা গিয়েছে দুই বালিকা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পটনায় গঙ্গা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানেই নদীর ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ ও প্রশাসন। রাতে আলোর ব্যবস্থাও করা হয় ঘাটগুলিতে। তৎসত্বেও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি। পুলিশ আজ জানায়, অরওয়াল ও সহর্ষ জেলায় নদীতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে চার যুবকের। দুর্ঘটনা ঘটে আজ ভোরে। অরওয়ালঘাটে শোন নদীতে পুণ্যস্নান করতে গিয়ে ভেসে যান রাহুল কুমার ও ছোটু কুমার।
আর সহর্ষ জেলায় পাতারঘাটে শীতলাপট্টি নদীতে ডুবে যান রবিশঙ্কর ও গুলশন কুমার সিংহ নামে দুই তরুণ। পরে জাল ফেলে রবি ও গুলশনের দেহ উদ্ধার করা হয়।
পটনায় গঙ্গার ঘাটে পুজো দিয়ে একটি ভ্যানে চেপে গ্রামে ফিরছিল পুণ্যার্থীদের একটি দল। দলে মেয়েদের সংখ্যাই ছিল বেশি। আজ ভোরে খুশরুপুরে ভ্যানটি উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় একটি বালিকা। কঙ্করবাগ এলাকাতেও পুণ্যার্থী বোঝাই একটি অটোরিক্শা উল্টে গেলে গুরুতর ভাবে জখম হন সাতজন। তার মধ্যে অঙ্কিতা কুমারী (১০) নামে একটি মেয়ে অল্প পরেই মারা যায়। |