খোঁজ মিলল ফাদারের, সন্দেহ ট্রেনে মাদক খাইয়েই লুঠ
খোঁজ পাওয়া গেল তুরা ডনবসকো কলেজের রেক্টর ফ্রান্সিস ফার্নান্দেজের। বেঁচে আছেন তিনি। দেরাদুনে তাঁকে পাওয়া যায়। তারপর তাঁর আত্মীয়রা তাঁকে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিশের অনুমান, দিল্লি-গুয়াহাটি রাজধানী এক্সপ্রেসে তাঁকে মাদক খাইয়েই তাঁর সর্বস্ব লুঠ করা হয়। তবে তিনি দেরাদুনে কীভাবে পৌঁছলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার ছ’দিন পর, গত কাল দেরাদুনে ফাদার ফার্নান্দেজের খোঁজ মেলে। আপাতত, তিনি দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি। ২৬ অক্টোবর তিনি দিল্লি থেকে গুয়াহাটি আসার জন্য রাজধানী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। ২৭ অক্টোবর এক সহকর্মীর মোবাইলে ফাদারের এসএমএস আসে। জানানো হয়, সকাল ৮টা নাগাদ ট্রেন বিহারের কাটিহারে পৌঁছেছে। সন্ধ্যার মধ্যে গুয়াহাটি আসবেন তিনি। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান ফার্নান্দেজ। এরপর সেদিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাত নম্বর থেকে এসএমএস পাঠিয়ে জানানো হয়, অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা ওঠায় ফাদারকে কিষাণগঞ্জে ট্রেন থেকে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। এরপর সোমবার ডনবসকো কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি এসএমএস আসে। তাতে বলা হয়, ফার্নান্দেজ ত্রিপুরা-বাংলাদেশের সীমান্তে রয়েছেন। ফার্নান্দেজের মোবাইলও বন্ধ ছিল।
বিষয়টি নিয়ে কাটিহার পুলিশ, অসম পুলিশ ও রেল পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ২৯ অক্টোবর শিলিগুড়ি স্টেশনের একটি ডাস্টবিন থেকে ফাদারের কিছু পোষাক ও জিনিস পাওয়া যায়। পুলিশ সন্দেহ করে: হয় ফাদার স্বেচ্ছায় নিরুদ্দেশ হয়েছেন, না হলে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই গত রাতে দেরাদুন থেকে খবর আসে, অসুস্থ অবস্থায় ফাদারকে সেখানে দেখা গিয়েছে। পরনে ছেঁড়া, ময়লা জামাকাপড়। ডন বসকো সূত্রে খবর, ফাদারের এক ভাগনে দেরাদুনে থাকেন। তিনিই ফার্নান্দেজকে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। ফাদারের সঙ্গে মাত্র ৩০০ টাকা ছিল। প্রাথমিকভাবে, ফাদারের অবস্থা থেকে অনুমান করা হচ্ছে ফাদারকে মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়েছিল। তারপর তাঁর সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া হয়। কী ভাবে শিলিগুড়ি থেকে ফাদার দেরাদুন গেলেন তা এখনও অজানা। অসুস্থ ফাদার এখন কথা বলার অবস্থায় নেই। রেল ও অসম পুলিশের দল ফার্নান্দেজের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি যাচ্ছেন। কেরলের এর্নাকুলাম থেকে ফার্নান্দেজের আত্মীয়রাও দিল্লি পৌঁছেছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.