|
|
|
|
অস্থির মণিপুরেই পা দিলেন চিদম্বরম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
একপক্ষ অবরোধ তুলে নিলেও এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না মণিপুর। বরং কুকিদের ‘জয়ে’ ক্ষিপ্ত নাগারা এ বার চরম প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন। সেনাপতি জেলায় চলছে তিন দিনের বন্ধ। তারই মধ্যে শর্মিলা চানুর আফস্পা-বিরোধী আন্দোলনও আজ ১১ বছরে পা দিল। চানু সমর্থকেরা কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং অবহেলার প্রতিবাদে খড়্গহস্ত। এমন তপ্ত পরিবেশেই দু’ দিনের সফরে মণিপুরে হাজির হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। বন্ধের মধ্যেও চিদম্বরম সেনাপতি জেলায় জনসভা করেন। কিন্তু চানুর নাম মুখেও আনেননি। আফস্পা-প্রসঙ্গ ও নাগা সমস্যা নিয়েও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
সোমবার দীর্ঘ বৈঠকের পরে, সদর হিলকে পূর্ণ জেলা হিসাবে গড়ার প্রতিশ্রুতি দেয় রাজ্য সরকার। সদর হিল পৃথক জেলা দাবি কমিটিও ৯২ দিনব্যাপী অবরোধ তুলে নেয়। কিন্তু নাগারা মণিপুরের এই অংশকে ‘নাগালিম’-এর অংশ বলেই দাবি করে থাকেন। ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিলের দাবি ছিল, নাগা অধ্যূষিত এলাকাগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কেবল নাগাদের উপরেই ছেড়ে দিতে হবে। নাগাদের জন্য পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সেনাপতি জেলা ভাগ করে, সদর হিল জেলা গঠনের বিরুদ্ধে, ইউএনসি ২১ অগস্ট থেকে ৩৯, ৫৩ ও ১৫০ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ চালাচ্ছে।
কাল সদর হিল জেলা গঠন নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নাগা নেতারা। রাজ্য সরকারের আবেদন ছিল, কুকিদের মতো নাগারাও তুলে নিক অবরোধ। কিন্তু নাগাদের শান্ত করা যায় নি। ইউএনসি নেতাদের বক্তব্য, নাগাদের দাবি ও অধিকার পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে মণিপুর সরকার সদর হিল দাবি কমিটির সঙ্গে চুক্তি করেছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আসলে সরকার বিভাজন নীতি চালিয়ে, রাজ্যে ফের সংঘর্ষ বাধাতে চাইছে।”
কাল বিকেলেই, ইউএনসি ও অল নাগা স্টুডেন্ট্স অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নেয়, অবরোধ আরও জোরদার করা হবে। মাঝরাত থেকেই সেনাপতি জেলা-সহ সব নাগা অধ্যুষিত অঞ্চলে ৭২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। আজ পার্বত্য মণিপুরে বন্ধ থাকে সব সরকারি-বেসরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকী, ইম্ফল-জিরিবাম-টুপুল রেলপথের নির্মাণকাজও থমকে গিয়েছে।
এর মধ্যেই, রাজ্যে পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। সেনাপতি জেলার মিনি সচিবালয় জেসামিতে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ১৩২ কেভি বিদ্যুৎকেন্দ্র, এসডিও কমপ্লেক্স, জনস্বাস্থ্যকেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি। নাগা নেতাদের সঙ্গে চিদম্বরম প্রায় এক ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেন। জেসেমির জনসভায় চিদম্বরম বলেন, “মণিপুর বহু গোষ্ঠীর আবাসভূমি। হিংসা নয়, সকলকে একসঙ্গে থেকে, কাজ করে, রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”নাগাদের জন্য পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থার ব্যাপারে চিদম্বরম কিন্তু কোনও মন্তব্য করেননি। |
|
|
|
|
|