মশাল মিছিল
‘পিলাক ভ্যালি’ জেলার দাবিতে আন্দোলন
ক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার নতুন নাম ‘পিলাক ভ্যালি’ এবং জোলাইবাড়িকে জেলা সদর করার দাবিতে আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় জোলাইবাড়িতে বেরোয় মশাল নিয়ে মৌন মিছিল। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে পিলাক ভ্যালি জেলা উন্নয়ন কমিটি (নাগরিক মঞ্চ)। কমিটির দাবি, দক্ষিণ ত্রিপুরার নামকরণের ক্ষেত্রে যদি প্রশাসনিক জটিলতা থাকে, সে ক্ষেত্রে ‘পিলাক ভ্যালি’ নামে নতুন জেলা গঠন করতে হবে। সেই সঙ্গে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের আশপাশ জোলাইবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় সেই নতুন জেলার সদর করতে হবে।
কমিটির অন্যতম নেতা হৃষীকেশ বৈদ্য জানান, দু’টি মহকুমা এবং বেশ কয়েকটি ব্লক নিয়ে নতুন জেলা ‘পিলাক ভ্যালি’ গঠনের দাবিতে পিলাক ভ্যালি জেলা উন্নয়ন কমিটি শান্তিরবাজার মহকুমাশাসক শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে। তাঁর দাবি, নতুন জেলার দাবিতে কমিটির আন্দোলনকে রাজনৈতিক দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে
স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ সমর্থন করছেন। কমিটির ডেপুটেশনের বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মহকুমাশাসক শঙ্করবাবু জানান।
এ দিন সন্ধ্যায় কমিটির ডাকে জোলাইবাড়িতে বেরোয় মৌন মিছিল। মিছিলকারীদের হাতে ছিল মশাল। শান্তিরবাজার, সাব্রুমেও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে। হৃষীকেষবাবু জানান, স্কুল-কলেজের পরীক্ষা এড়িয়ে কমিটির দাবির সমর্থনে এলাকায় শীঘ্রই শুরু হবে ছাত্র-আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন কমিটির প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না পেলে কমিটি বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে।
কমিটির আর এক সদস্য উত্তম সরকার নিজেকে শাসক দলের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেন। তিনি জানান, পিলাক জেলা গঠনের দাবি দীর্ঘ দিনের। ১৭ বছর আগে স্থানীয় পিলাক উৎসবে রাজ্যের ‘দাপুটে’ মন্ত্রী বাদল চৌধুরী এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। উত্তমবাবুর কথায়, ‘‘এখন সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে গেলে জোলাইবাড়ির মানুষ মেনে নেবে না। অনেকেই এখন ‘রাজনৈতিক কারণে’ এলাকার ঐতিহাসিক গুরুত্বকে অস্বীকার করতে চাইছেন। অথচ পিলাকের ইতিহাস অন্তত ৫০০ বছরের পুরনো।”
এ দিকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী জানিয়েছেন, জোলাইবাড়ির কিছু মানুষ আবেগপ্রবণ হয়ে নানা দাবি তুলছেন। একইভাবে কাঞ্চনপুর তেলিয়ামুড়াতেও কিছু মানুষ আন্দোলন করছেন। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার নতুন নতুন জেলা, মহকুমা, ব্লক গঠনের আগে বেশ কয়েক মাস ধরে সরকারি স্তরে আলাপ আলোচনা করেছে। একটি কমিটিও গড়া হয় এ জন্য। বহু পর্যালোচনার পরই রাজ্য সরকার প্রসাশনিক পুনর্বিন্যাসের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.