|
|
|
|
ভোট-বিধির জালে এ বছরের পাঁচ মাসই ‘অকেজো’ |
কাজী গোলাম গউস সিদ্দিকী |
প্রথমে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার পরে ভবানীপুর ও বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন। এ বার উপ-নির্বাচন আসন্ন দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে। এই তিনটি নির্বাচন-প্রক্রিয়ার কারণে থমকে রয়েছে কলকাতা শহরের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজকর্ম।
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের জন্য কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় নির্বাচনী বিধি বলবৎ থাকছে ১ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ, ৩৭ দিন। তার আগে ভবানীপুর ও বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের জন্য কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নির্বাচনী বিধি কার্যকর ছিল ২৫ অগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর তারও আগে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য জুড়েই গত ১ মার্চ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ৭৯ দিন নির্বাচনী বিধি কার্যকর ছিল।
অর্থাৎ, চলতি বছরেই মোট ১৫৩ দিন কলকাতা নির্বাচনী বিধির কবলে থাকছে। নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর থাকার ফলে শুধু নতুন প্রকল্প ঘোষণাই নয়, নির্বাচনী প্রেস-বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার বহু আগেও যে সব প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছে, কিন্তু কোনও কারণে শুরু করা যায়নি, এমন কাজও বন্ধ রাখতে হয়েছে। কারণ, কমিশনের নিয়ম হল, কোনও নির্বাচনের প্রেস-বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার দিন থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার দিন পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর থাকে। এর মাঝে অবশ্য ভোটগণনা পর্ব মিটে যায়। স্বভাবতই সেই সময়ে নতুন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা নিষিদ্ধ।
যেমন, দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে দিন প্রেস-বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল, সেই দিন থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর করতে হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত জানিয়ে দিয়েছেন, এই আচরণবিধি কার্যকর থাকবে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যদিও ওই কেন্দ্রের ভোটগণনা হবে ৪ ডিসেম্বর।
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে শুধু কলকাতা শহরই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুরো জেলাতেই নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও লোকসভা বা বিধানসভা কেন্দ্রের কোনও একটি অংশ যদি এক বা একাধিক জেলার মধ্যে পড়ে, তবে সেই জেলাতেও নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হবে।
নির্বাচন কমিশনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, বিশেষ কোনও কোনও ক্ষেত্রে কমিশনের বিশেষ অনুমতি নিয়ে কাজ করা যায়। তবে, সেই অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে এ ভাবেই কলকাতা পুলিশ হাসপাতালের কাজ আটকে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাদের প্রশ্ন ছিল, যে কাজ গত কয়েক বছরে করা হয়নি, সেই কাজ নির্বাচনের সময়ে করার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? |
|
|
|
|
|