|
|
|
|
সায় মমতার |
বাড়তি ১০৪ জন শিক্ষক পাচ্ছে প্রেসিডেন্সি |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন মিলেছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১০৪টি শিক্ষক-পদ সৃষ্টি করছে রাজ্য সরকার। পদগুলি সহকারী অধ্যাপকের।
কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার পরেই প্রেসিডেন্সির তরফে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে বেশ কিছু পদ সৃষ্টি করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাব যাচাই করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। বুধবার মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ওই প্রস্তাব পেশ করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্সিতে বাড়তি শিক্ষকের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর জন্য রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত ১৬৪টি পদ সৃষ্টি করছে সরকার। বামফ্রন্ট সরকারের শেষের দিকে সরকারি স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ইংরেজিতে পড়াতে সক্ষম শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে সেই উদ্যোগ ইতিমধ্যে অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। নতুন সরকার তাই এই ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগের সময় ইংরেজি ভাষায় বক্তব্য প্রকাশের দক্ষতার উপরে গুরুত্ব দিতে আগ্রহী। তাই নিয়োগের সময় বিষয়ের জ্ঞান তো যাচাই করা হবেই। সেই সঙ্গে দেখে নেওয়া হবে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজের বিষয়ের জ্ঞান ইংরেজিতে সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করতে পারছেন কি না।
২০০৯ সালে সংসদে পাশ হওয়া শিক্ষার অধিকার আইন পশ্চিমবঙ্গে রূপায়ণ করার ব্যাপারেও রাজ্য সরকার আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করবে। কেন্দ্রীয় আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি শিশুকে বিনা ব্যয়ে শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য এই আইন বলবৎ করেছে। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গও ওই আইন বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগী হল।
এ ছাড়া, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ অন্য একটি প্রস্তাবও পেশ করা হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি মাদ্রাসাকে আরও ভাল ভাবে পরিচালনা করার জন্য রাজ্য সরকার ‘অনুমোদন পত্র’ দেবে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে সেই প্রস্তাবে। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে মমতা ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের এই ধরনের মাদ্রাসাগুলি যাতে আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর হতে পারে, সেই জন্য রাজ্য সরকার তাদের অনুমোদন পত্র দিয়ে সাহায্য করবে। অনুমোদন পত্র পাওয়ার পরে বেসরকারি মাদ্রাসাগুলি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সাহায্য এবং অনুদান পেতে পারবে।
শুধু শিক্ষা নয়, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও কিছু প্রস্তাব আসছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মচারী, তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের তালিকা বাড়ানো হচ্ছে। ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য প্রকল্প ঘোষণা করে তৎকালীন রাজ্য সরকার হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের একটি তালিকা তৈরি করেছিল। তার পরে কর্মচারী মহল থেকে দাবি করা হয়, ওই তালিকা অনুযায়ী চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় এলাকা-ভিত্তিক হাসপাতাল ও নার্সিংহোম পাওয়া যাচ্ছে না। তাই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০০৮ সালের স্বাস্থ্য প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব আনছে। |
|
|
|
|
|