মাঠে গভীর নলকূপের বিদ্যুৎবাহী ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি থানার মধুরা গ্রামে। ওই ঘটনার পরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে গ্রামবাসীরা রাত পর্যন্ত পুলিশের গাড়ি আটকে রাখেন। পরে তাঁদের বুঝিয়ে গভীর রাতে পুলিশ গাড়ি নিয়ে যায়। এর পরেও বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা রাজ্য বিদ্যুৎবণ্টন কোম্পানির নলহাটি গ্রুপ সাপ্লাই অফিসে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, মৃতার নাম তসলিমা বিবি (৪৫)। মধুরা গ্রামেই তাঁর বাড়ি। গ্রামাবাসী তথা কলিঠা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কদম রসুল, নুরে খোদারা বলেন, “গ্রামের বিধবা মহিলা তসলিমা বিবি মঙ্গলবার সকালে গ্রামের পশ্চিমপ্রান্তে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। দুপুর ১টা নাগাদ গ্রাম থেকে ১ কিলোমিটার দূরে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান গ্রামের এক যুবক। ওই যুবক সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে খবর দেন।” তাঁরা জানান, পরে গ্রামবাসীরা গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেহটি গ্রামে নিয়ে আসেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “বরজাহান শেখ নামে গ্রামের এক বাসিন্দার ওই গভীর নলকূপের তার এক সপ্তাহ আগে ঝড়ে ছিঁড়ে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁকে সতর্ক করেছিলেন। কাজ হয়নি। যার জন্য ওই মহিলাকে মরতে হল।” তাঁদের দাবি, বরজাহান শেখকে ক্ষতিপূরণের জন্য বললেও তিনি শুধু দেহ সৎকারের জন্য যা খরচ হবে তা দিতে রাজি হন। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি না হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
বরজাহান শেখ বলেন, “আমার যেখানে বিদ্যুৎচালিত গভীর নলকূপ আছে সেখানে একই রকম আরও চারটি গভীর নলকূপ আছে। গ্রামবাসীরা কেবল আমার কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি করেছে।” তাঁর দাবি, “মাঠে যেহেতু বিদ্যুৎচালিত গভীর নলকূপ বন্ধ আছে, সে জন্য তার ছেঁড়ার ব্যাপারে কিছু জানতাম না। কেউ আমাকে এ ব্যাপারে বলেননি। মঙ্গলবারের ঘটনার পরে ছেঁড়া তার সংযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে।” রাজ্য বিদ্যুৎবণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট বিভাগীয় ম্যানেজার নারায়ণচন্দ্র রায় বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব কী হয়েছে।”
|