টুকরো খবর
সপ্তাহ দু’য়েক ধরে কয়েকশো হাঁস-মুরগি মরেছে দুবরাজপুর পুরসভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে কী কারণে মৃত্যু হচ্ছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নেই বাসিন্দাদের। এমনকী এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরে আনেননি বাসিন্দারা। বুধবার বিষয়টি প্রথম নজরে এসেছে পুর-কর্তৃপক্ষের। পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হাঁস বা মুরগি মারা যাওয়ার কথা আমি শুনেছিলাম। কিন্তু গত কয়েক দিনে যে সংখ্যক হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে সঙ্গে সঙ্গে দুবরাজপুরের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ও বিডিওকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। পাশাপাশি এলাকায় যত্রতত্র যাতে হাঁস-মুরগি ফেলে না রাখা হয় সেটা দেখব।” প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের আধিকারিক শুভ্র মিত্র মজুমদার বলেন, “এ ধরনের ঘনার কথা জানতাম না। পুরসভার তরফে জানার পরে আজ দফতরের কর্মীদের পাঠিয়ে বিষয়টি খোঁজ নেব। প্রয়োজনে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মৃত পাখির দেহরসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।” বুধবার সকালে দু’টি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল ময়লা ফেলার জায়গা, এলাকার পুকুর, ডোবা প্রভৃতি জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মরা হাঁস-মুরগি। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জরিনা বিবি, রেহেনা বিবি ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হুরমদিনা বিবি, শেখ মুস্তাকিমরা বলেন, “গত কয়েক দিনে আমাদের প্রায় সব হাঁস-মুরগি মারা গিয়েছে। ঝিমুনি রোগ হয়েছে ভেবে আর কোথাও বিষয়টি জানাইনি। আরও যাঁরা হাঁস-মুরগি রাখেন তাঁদেরও কমবেশি মৃত্যু হয়েছে। তবে এতে ভয়ের কারণ আছে কি না জানি না। কিন্তু আর্থিক দিক থেকে আমাদের সকলের ক্ষতি হল।”

দুর্নীতির অভিযোগে স্মারকলিপি
নিকাশি নালা সংস্কার, ইন্দিরা আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে বুধবার পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিল বামফ্রন্ট। ঘটনাটি মাড়গ্রামের সাহাপুর পঞ্চায়েতে। এ দিন নেতৃত্বে ছিল সিপিএমের রামপুরহাট ২ জোনাল কমিটির সদস্য তথা রামপুরহাট ২ ব্লক কৃষকসভার সম্পাদক অজিত মাল, ফরওয়ার্ড ব্লকের রামপুরহাট ২ ব্লক সভাপতি অজিত দাস। স্মারকলিপি দেওয়ার সময়ে তৃণমূল প্রধান বিমান চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না। সে সময় স্মারকলিপি নেন পঞ্চায়েতের কর্মীরা। বামফ্রন্ট নেতৃত্বের অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পে তৃণমূল প্রভাবিত সংসদে শ্রমিকদের কাজ না করে টাকার পরিমাণ দেখানো হয়েছে। সহায় প্রকল্পে অর্থ তছরুপ হয়েছে। বিরোধী সদস্যদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয় না। বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার ক্ষেত্রেও উপভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। পঞ্চায়েতের কর্মীরা জানান, তাঁদের দাবিগুলির ব্যাপারে প্রধানকে জানানো হবে। প্রধান বলেন, “১০০ দিনের কাজের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকে সরকারি কর্মীরা। আমরা শুধু সই করি। তাতে ভুল হলে আমাদের দায়িত্ব কোথায়। পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে সাহাপুর পঞ্চায়েত সহায় প্রকল্পে প্রথম কাজ শুরু হয়। সে সময় উপভোক্তা ১৮০ জনের মতো ছিল। কিন্তু ব্লক থেকে ১০০ জনের টাকা পাচ্ছি। বাড়তি উপভোক্তাদের জন্য টাকা কোথায় পাব। সেই জন্য বর্তমানে ওই প্রকল্প বন্ধ আছে।” তিনি জানান, এক বছর হল ক্ষমতায় এসেছেন। যা কিছু কাজ করা হচ্ছে বামফ্রন্টের প্রধানের দেখানো পথেই কাজ হচ্ছে।

সার নিয়ে অবরোধ
রাসায়নিক সারের দামবৃদ্ধি ও সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দাবিতে বুধবার বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এসইউসি প্রভাবিত ‘সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন’। ওন্দা বাসস্ট্যান্ডের মোড়ে এ দিন সকাল ১০টা থেকে আধঘণ্টা প্রতীকী অবরোধ হয় বলে জানান সংগঠনের জেলা সম্পাদক দিলীপ কুণ্ডু। অন্য দিকে, এ দিন বীরভূমের নলহাটিতেও একই দাবিতে জাতীয় সড়কে আধঘণ্টার প্রতীকী অবরোধ করে এই সংগঠন। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার আর্জি জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে রামপুরহাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও।

নলকূপ বেহাল
মাস দু’য়েক ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে খয়রাশোলের চূড়র প্রাথমিক স্কুলের কাছাকাছি বাউড়ি পাড়ার নলকূপটি। এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বহুবার বলা সত্বেও নলকূপটি সারানোর ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান। পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের পবন অঙ্কুরের সাফাই, “নলকূপটি দিন কয়েক আগে খারাপ হয়েছে। এলাকার মানুষকেই নলকূপগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়া উচিত। তবে শীঘ্রই ওই নলকূপটি সারিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”

রাস্তা সংস্কারের দাবি
খয়রাশোলের কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েতের ইসগড়া গ্রাম থেকে ফতেপুর যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। ওই রাস্তা ব্যবহারকারীদের ক্ষোভ, রাস্তাটি কার্যত চলার অযোগ্য। অথচ পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে গিয়ে বললেই উনি এড়িয়ে যান। যদিও প্রধান পবন অঙ্কুর বলেন, “৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য অর্থ আগে বরাদ্দ হয়েছিল। দরপত্র ডাকাও হয়ে গিয়েছে। যে কোনও দিন কাজ শুরু হবে।”

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক শিশুর। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম তুলি মণ্ডল (৩)। বাড়ি মাড়গ্রাম থানার তেঁতুলিয়া গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শিশুটি বাড়ির সামনের রাস্তা খেলা করছিল। সেই সময় একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তুলির মৃত্যু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.