পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে ছটপুজোয় লাগামছাড়া বিশৃঙ্খলা চলছিলই। তার মধ্যে ভিড় কাটিয়ে বেরোতে যাওয়ায় ইট পড়ল রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি রজত মজুমদারের গাড়িতে।
বুধবার বর্ধমান শহর সংলগ্ন পাল্লা-শ্রীরামপুরের কাছে জি টি রোড বাইপাসের এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার প্রতিবাদে আধ ঘণ্টা বাইপাস অবরোধ করা হয়। আধ ঘণ্টা পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ রজতবাবু কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে জি টি রোড বাইপাসে ছট পুজোর ভিড় জমেছে। ভিড়ের মাঝে তাঁর গাড়ির চালক এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গাড়ির কাচে কেউ ইট ছোড়ে। রজতবাবুর সঙ্গে থাকা লোকজনই তাকে ধরে ফেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিলীপ রায় নামে ওই যুবককে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমান পুলিশ লাইনে চলে যান রজতবাবু। সেখান থেকে তিনি ফোন করেন পুলিশ সুপারকে। পৌঁছন বর্ধমান থানার আইসি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই যুবককে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
ওই যুবককে গ্রেফতারের খবর পেয়ে বাইপাসে অবরোধে বসে পড়েন আশপাশের লোকজন। ঘটনাসস্থলে প্যঁছয় পুলিশ। অবিলম্বে ধৃত যুবককে ছেড়ে দেওয়া না হলে পথ অবরোধ চলবে বলে জানিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। কিন্তু পুলিশ পাল্টা জানিয়ে দেয়, অবিলম্বে অবরোধ তুলে না নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশেষে আধ ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে।
এ দিকে, ছট পরব উপলক্ষে বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে। শহরের বাঁকা নদীর পাড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় এই রাস্তা জুড়ে ছট পুজোর উৎসব চলায় যাতায়াতে অসুবিধার অভিযোগ উঠেছে। নাকাল হয়েছেন পথচারীরা। বর্ধমানের টাউন হলের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দাবি, বাঁকার পাড়ের রাস্তা পার হতে যাওয়ায় তাঁকে এমনকী মারধরও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁর দাবি। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে পরবের জন্য ট্রাক বোঝাই করে লোকজন যাওয়ার ফলে শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জি টি রোডে অন্য যানবাহনও চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ সব কিছু দেখেও নির্বাক দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ।
বর্ধমানের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর স্বীকার করেন, “ছট পরবে বর্ধমানে এত ধুমধাম হয়, তা জানা ছিল না। তাই এ বার আমরা সব কিছু ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।” পরের বার এমন হবে না বলে আশ্বাস পুলিশ সুপারের। |
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মঙ্গলবার সকালে কালনার ফড়িংগাছি গ্রামে মৃত্যু হল এক বধূর। মনিকা দে (২৮) নামে ওই বধূর বাপের বাড়ির লোকজন তাঁর স্বামী-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। |