দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় পড়লেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর আঘাত খুব বেশি না হলেও স্বস্তিকার মেকআপম্যান এবং এক বান্ধবী গুরুতর আহত হন। বর্ধমানের কাছে একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রাতে সকলেই কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন।
দুর্গাপুরে একটি শপিং মলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার দুপুরে কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিলেন স্বস্তিকা। আয়োজক সংস্থার পাঠানো গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেকআপম্যান শ্রীরূপ দাস এবং ছেলেবেলার বান্ধবী তথা ওই সংস্থার কর্মী পূজা বসু। শক্তিগড়ের কাছে আচমকা দাঁড়িয়ে পড়া একটি মিনিট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে গাড়িটি। স্বস্তিকা জানান, চালকের বাঁ পাশে বসেছিলেন শ্রীরূপ। পিছনে তিনি, তাঁর বাঁ পাশে পূজা। |
হাসপাতালে স্বস্তিকা। উদিত সিংহের তোলা ছবি। |
অভিনেত্রীর কথায়, “হঠাৎই সামনে চলে এল একটা ট্রাক। আমাদের গাড়ি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারল। তালগোল পাকিয়ে কে কোথায় ছিটকে পড়লাম। সম্বিত ফিরতে দেখি, পূজা আর শ্রীরূপ সিটের নীচে ঢুকে গিয়েছে। জানলার কাচে রক্ত আর চুল লেগে! বারবার ডেকে, পূজাকে ধাক্কা মেরেও সাড়া পাচ্ছিলাম না।”
তত ক্ষণে গাড়ির চারপাশে ভিড় জমে গিয়েছে। স্বস্তিকা বার বার অনুরোধ করতে থাকেন, “প্লিজ, আমাদের কোনও হাসপাতালে নিয়ে চলুন।” কিন্তু জনতা তখন অভিনেত্রীকে দেখতেই ব্যস্ত! ওই সময়ে শক্তিগড় থেকে ফিরছিলেন শেখ সাজেদ আলি নামে বর্ধমানের এক পরিবহণ ব্যবসায়ী। তিনিই চার জনকে নিজের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
বিশেষ চোট পাননি চালক অভয় বেউরিয়া। তাঁর অভিযোগ, “আমার গাড়ির গতি ছিল প্রায় ১০০-১২০ কিলোমিটার। হঠাৎই একটা মিনিট্রাক ডান-বাঁ করতে করতে আচমকা ডান দিক চেপে দাঁড়িয়ে যায়। আমার পক্ষে গাড়ি দাঁড় করানো সম্ভব ছিল না।” বর্ধমানের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, “যা শুনলাম, তাতে গাড়ির চালকের কিছু করার ছিল না।” স্বস্তিকা যেতে না পারলেও দুর্গাপুরে শপিং মলের অনুষ্ঠানটি হয়েছে। |