ইসিএলের বিভিন্ন খনিতে জাল বেসরকারি সংস্থা থেকে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগের অভিযোগ উঠল। ডিরেক্টর জেনারেল অফ রিহ্যাবিলিটেশন (ডিজিআর)-এর যুগ্ম অধিকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দ্র কৃষ্ণ এই অভিযোগ তুলেছেন। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন ইসিএলের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিককে। এই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক রানা চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রয়োজনীয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার ১৪টি এরিয়ার প্রায় ৯০টি খনিতে দু’হাজারেরও বেশি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী কাজ করেন। তাঁরা একাধিক ঠিকা সংস্থার কর্মী। নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও রাষ্ট্রীয় সংস্থায় বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করতে হলে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদিত ডিজিআর-এর তালিকাভুক্ত সংস্থাকে বরাত দিতে হবে। কিন্তু ডিজিআর-এর তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, ইসিএলের বিভিন্ন খনিতে নিরাপত্তার বরাত পাওয়া কমপক্ষে ৫টি সংস্থা তাদের তালিকাভুক্ত নয়। জালিয়াতি করেই বরাত পেয়েছে ওই সংস্থাগুলি।
ইসিএলের বিভিন্ন খনিতে এই অনিয়মের বিষয়টি রাজ্যসভার সাংসদ তথা ইসিএল অনুমোদিত ৫টি শ্রমিক সংগঠনকে নিয়ে গঠিত যৌথ উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক রামচন্দ্র সিংহ জানান কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রককে। সেখান থেকে খবর যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। এর পরেই নড়েচড়ে বসে ডিজিআর। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয় ইসিএলের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিককে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইসিএলের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ডিজিআর-এর চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয় হবে।” তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে প্রায় ২১০০ নিরাপত্তা কর্মীকে বসানো সম্ভব নয়। তাহলে খনিগুলির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। নতুন নিরাপত্তা রক্ষী সংস্থার নাম চেয়ে ডিজিআর-কে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। |