ছট পুজোয় গিয়ে জলে ডুবে মারা গেলেন এক যুবক। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে তামলা কলেনির স্কুলপাড়ার পুকুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মুকেশ মাহাতো (২১)। বাড়ি স্থানীয় চাষিপাড়ায়। এই ঘটনায় এলাকায় ম্লান হয়ে যায় উৎসবের আনন্দ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোর রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুকুরে যান মুকেশ। একে একে পুজোর পর্বগুলি সম্পন্ন হতে থাকে। এরপর মুকেশ তপর্ণ করতে জলে নামেন।
|
মুকেশ মাহাতো। নিজস্ব চিত্র। |
তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাঁতার না জানায় আর উঠে আসতে পারেননি মুকেশ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সকাল ১০টা নাগাদ মুকেশের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ দিন মুকেশের সঙ্গে পুকুরে গিয়েছিল তাঁর ভাই রাহুল ও দুই বোন বেবি ও আরতি। তারা জানায়, একে একে তারা পুকুরে নেমে তর্পণ সারছিল। নির্দিষ্ট ঘাটটি তত গভীর নয়। তাই সাঁতার না জানলেও কোনও দুশ্চিন্তা ছিল না তাদের। কিন্তু মুকেশ নামতেই তলিয়ে যান। রাহুলের কথায়, “দাদা পুকুরে নামতেই মনে হল কে যেন তাকে টেনে নিয়ে চলে গেল। কয়েক জন পুকুরে ঝাঁপ দিয়েও বাঁচাতে পারল না দাদাকে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্ভবত পুকুরের ওই ঘাটের পাশে কোনও গভীর খাদ রয়েছে। অসাবধানে মুকেশ সেই খাদে পড়ে যান। তাতেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
|
শোকার্ত মা ও পরিজনেরা। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন মুকেশের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা পরমিনাদেবী ও বাবা প্রমানন্দবাবু বড় ছেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। পেশায় চাষি প্রমানন্দবাবু জানান, মুকেশ তাঁকে চাষের কাজে সাহায্য করত। দুর্ঘটনার কারণে এ দিন এলাকার ছট উৎসবে কাটছাঁট করেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীবেশ সাউ, ওমপ্রকাশ সাউরা জানান, মুকেশ এলাকায় জনপ্রিয় ছিল। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে যোগ দিত। এই মমার্ন্তিক খবর পেয়ে উৎসবের জন্য আনা মাইক, সাউন্ড বক্স বাজানো বন্ধ দেওয়া হয়। |