রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ শুরু হত বৈঠকখানা রোডে আমাদের ‘চোর-চোর’ খেলা। ছবিঘর সিনেমা হলে ন’টার শোয়ের টিকিট কাটার হুল্লোড় শেষ হয়েছে। বাজারদোকানও বন্ধ। কেমন একটা ছায়াঘন ভূতুড়ে পরিবেশ। প্রায় ১৮-২০ জনের দলটিকে খুঁজছে চোর। পরে দেখা যেত চোর একাই খুঁজে বেড়াচ্ছে আর আমরা সবাই যে যার বাড়ি ফিরে এসেছি।
আমাদের বাড়িতে একটা রেওয়াজ ছিল প্রতি দিন রাতে নানা পদের সঙ্গে মাংস-লুচি এবং মিষ্টি থাকত। কিন্তু ২৬ জনের সংসারে পাতে পড়ত একটি মাংস ও দু’টি বড় আলুর টুকরো। ঝোল থাকত ফ্রি। কিন্তু রবিবারে যে মাংস রান্না হত সেটা ছিল যতটা চাইব ততটা পাব। তাই রবিবারের এই পদটি ‘বরাট বাড়ির পুকুর পাঁঠা’ নামে খ্যাত ছিল। বড় ডেকচিতে সে এক টলটলে ঝোল।
সেই মাংসের ঝোল খেয়ে কোনও কোনও রবিবারের দুপুরে আমাদের আত্মীয় ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য আসতেন ঠাকুমাকে গান শোনাতে। আমাকেও গান শোনাতে হত।
তখন ক্লাস এইটে পড়ি, প্রতি রবিবার সকালে আমরা দুই ভাই ও জ্যেঠতুতো দিদি মিলে সেন্ট্রাল ক্লাবে রাইফেল শুটিংয়ে যেতাম। আর বিকেলে থাকত কলেজ স্কোয়ারে সাঁতার কাটা। পড়াশোনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক থাকত না রবিবারে।
এখন কোনও রবিবারে ভাইয়েরা যখন আমার কাছে আসে আমি ফিরে যাই স্মৃতির বৈঠকখানার বাড়িতে। আমার ভাইয়েরা, আমার পরিজনেরা, যৌথ সংসারের মানসিকতায় আমার সাঙ্গীতিক সংসার, সবই আমার দলকে ঘিরে। সেই জন্মভূমি আমার ‘ক্যালকাটা কয়্যার’। বত্রিশ বছর হল।
আমার চোখ খোলা থেকে যৌবন, সবটাই পূর্ণতা পেয়েছে বৈঠকখানা রোডের বাড়ির আবহে। আমার জীবনের ক্যানভাসে আছে কলকাতার জেলেপাড়া, গোয়ালাপাড়া, কোলে মার্কেটের আনাচকানাচ। সেই ক্যানভাসেই আছেন হেমাঙ্গদা, শম্ভুদা, সলিলদার মতো ব্যক্তিত্ব। আছেন পাড়ার কাকিমা-জেঠিমা-কাকুরা।
স্কুল ছুটি মানে আমরা পাড়ার কোনও না কোনও বন্ধুর বাড়ির রান্না ঘরে ঢুকে পড়তাম। আমরা জানতাম কাকিমা বা জেঠিমা সেরা রান্নার কিছুটা আলাদা করে তুলে রাখতেন। জানতেন, যে কোনও সময় এসে সেটা ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে যাব। পাশাপাশি পেয়েছি পাড়ায় বড়দের অনুশাসনও। সকলকে নিয়ে চলার যে আনন্দ, যে মানসিকতা, তা ওই বৈঠকখানা বাড়ি ও পাড়া থেকে পেয়েছিলাম। সেই জন্যই মনে হয় আজ একটানা শ’খানেক ছাত্রছাত্রী নিয়ে চলতে পারছি।
কোনও এক রবিবারে দেখা হল হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সঙ্গে। আমি, বিমল, বাবলু, রঞ্জনপ্রসাদরা মিলে প্রায় জনা কুড়ি গান শিখতে গিয়েছি। মজার ব্যাপার হল যাওয়ার পরেই চলে আসত মুড়ি আর চানাচুর। প্রচারবিমুখ, প্রখর আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মানুষটির কাছে আমি গান শিখছি আর মনে মনে ভাবছি এটাকে নিয়ে বাণিজ্য করব। কারণ আমি জানি আমার কণ্ঠ সঙ্গীত পরিবেশন করার উপযুক্ত নয়। আমি গান শিখতে এসেছি গানটি অন্য কাজে লাগাব বলে। গান শেখানোর পরে হেমাঙ্গদা বললেন, ‘কল্যাণ গানটারে কোথাও লাগায়ে দিয়ো’। এই শেখানোয় ছিল নির্ভেজাল আনন্দ। শেখানো গানটা কোনও কাজে লাগলেই হল। এই ছিল হেমাঙ্গদার আদর্শ। না হলে বিহু শেখাতে গিয়ে শুধু এক দিন ধরে বিহু সম্বন্ধে বোঝালেন। এই মানুষের সর্ংস্পশে এসে ধন্য হয়েছি।
আমার প্রিয়

খাবার: চাইনিজ ফুড
সময়: শৈশব
ঋতু: শীতকাল
মানুষ: হেমাঙ্গ বিশ্বাস
জায়গা: দার্জিলিং
কাজ:‘আমাদের একটাই দেশ’
নৃত্যশিল্পী: শম্ভু ভট্টাচার্য
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সঙ্গীত পরিচালক: সলিল চৌধুরী
ক্রমে রবিবারগুলো সোনায় মোড়া হয়ে উঠতে লাগল। এক রবিবারে মন্টুদার (ঘোষ) সঙ্গে গেলাম সলিল চৌধুরীর বাড়ি। সেখানে গান নিয়েই কথাবার্তা চলল। তারই মধ্যে মনে হয় বুঝে গিয়েছিলেন আমাদের দলের যা কিছু সব গান দিয়ে ঘেরা। হঠাৎই পরের দিন বিকেলে নিজে গাড়ি চালিয়ে চলে এলেন আমাদের বৈঠকখানার বাড়িতে। দলের ছেলেমেয়েরা হেমাঙ্গ বিশ্বাসের ‘জন ব্রাউন’, ‘জন হেনরি’, ‘শঙ্খ চিল’ শোনাল। গান শুনে তিনি উচ্ছ্বসিত। কয়েকটি সলিলদারও গান শোনানো হল। ব্যস আর কথা নয়। গান চলল বিকেল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত। সলিলদা তখন মধ্য গগনে, আর আমি নিতান্তই সাধারণ এক মানুষ। সলিলদার উৎসাহেই দশটি গানের রের্কড করা হল। নিজের বাড়িতে সংবাদমাধ্যমকে ডেকে জানিয়ে দিলেন বিষয়টি।
ধন্য হয়েছি কোনও এক রবিবারে শম্ভুদাকে কয়্যারে পেয়ে। তখন ‘রানার’ শম্ভু ভট্টাচার্য বেশ মনঃকষ্টে ছিলেন। ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরের গোড়ার কথা। আমাদের বাড়ির সামনে রূপসজ্জা কুটির নামে একটি পোশাকের দোকান ছিল। সেখানে আসতেন মাঝে মাঝে। সেখানেই দেখা করেছিলাম। উনি সেদিন বলেছিলেন, কী করি বলো তো কল্যাণ। বৈঠকখানা বাজারে একটা আলুর দোকান দেখি। বললাম, আমার ছোট দল। এই দলে যোগ দিন। আপনি নৃত্য পরিচালনা করুন। বাবার মতো দলে এলেন। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ‘রানার’ করলেন। শম্ভুদা ঘুরে দাঁড়ালেন, একটা জেদ চেপে গেল ওঁর। কিছু একটা করতে হবে এই ভেবে প্রতি দিন রিহার্সাল চলত সকাল দশটা থেকে রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত। আমাদের এগিয়ে চলার দিন শুরু। বাড়ির উঠোনে শম্ভু ভট্টাচার্যের নৃত্য পরিচালনায় একটানা মহড়ার দিনগুলো ছিল বসন্তরঙিন। সেই থেকে আজও...।
সেই অর্থে আমার জীবনে রবিবার এখন আর নেই। কারণ, আমার কয়্যার। সকাল ন’টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শেখানোর ক্লাস থাকে। ছুটির আমেজ না থাকলেও এটি আমার কাছে আনন্দের দিন। ছাত্রছাত্রীরা কেউ কেউ খাবার আনে। ক্লাসের শেষে সবাই ভাগ করে খায়। আমিও ভাগ পাই। আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রে আরও আনন্দের, কেননা, প্রথম দিকে ক্লাসে থাকেন পরে অভিভাবকদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দেন।
সঙ্গীত পরিচালনার জন্য আমাকে বিভিন্ন বাজনা সর্ম্পকে প্রাথমিক জ্ঞানগুলো জানতে হয়েছে। সেই সূত্রে আমি পিয়ানো বাজানো শিখেছি প্রণব বসুর কাছে।
আমার সঙ্গীত পরিচালনায় ন্যাশনাল নেটওয়ার্কে ‘পোটলিবাবাকী’ পাপেট সিরিয়ালটি চলেছিল বহু দিন। রবিবার সকাল ন’টায় ছিল আমার টিভির সামনের বসার দিন। এখন প্রতি রবিবার আমার পরিচালনায় ‘পঞ্চতন্ত্র’ চলে। সেটা আমার দেখার বিষয়। ন’টি ভাষায় হয়।

সাক্ষাৎকার: পাপিয়া মিত্র
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
নয়ডায় বুদ্ধ সার্কিটের ট্র্যাকে যখন হতে চলেছে দুরন্ত গতির ফর্মুলা ওয়ানের লড়াই, তখন বিধানসভার ভোটে ভয়ঙ্কর ভাবে শর্ট সার্কিটের পর ‘বুদ্ধ’ ট্র্যাকে চলার গতি ক্রমশ কমছেই!
অমরকৃষ্ণ অধিকারী। হাবড়া

হলদিয়ার এক সিপিএম কাউন্সিলর লৌহ আকর চুরির দায়ে ধরা পড়েছেন। এটা ঠিক চুরি নয়; এটাকে এক নতুন ধরনের উন্নততর ‘শ্রেণি’ সংগ্রাম বলাই যায়! কারণ, এই বামপন্থী ব্যবসায়ী যা করতেন তার মূল ব্যাপার হল বন্দরগামী উচ্চ শ্রেণির লৌহ আকর বোঝাই ট্রাক থেকে তা ঝেড়ে সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণির মাল ঢুকিয়ে দিতেন! এটা ‘শ্রেণি’ সংগ্রাম নয়তো কী!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

একটি বিজ্ঞাপন: সাফল্যের শীর্ষে ‘প্রণব স্যরের কোচিং সেন্টার’! ধারাবাহিক ও ডিটেল পড়ানোর সঙ্গে উপযুক্ত ও কার্যকরী ‘নোট’ দেওয়া হয়। হেড অফিস দিল্লি। বিফলে ‘অর্থ’ ফেরত!
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল

লক্ষ্মণ শেঠের তত্ত্বাবধানে একই ভবনে বিধি ভেঙে দু’টি ডাক্তারি কলেজ দীর্ঘদিন চলছে জানার পর গাইতে ইচ্ছে করে: তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা...!
ত্রিলোকি প্রসাদ। এয়ারপোর্ট

‘২২ শে শ্রাবণ’ বক্স অফিসে খিস্তিমাত করল!
চিরন্তনী রায়।

আডবাণীজি তো প্রধানমন্ত্রিত্বের আশাতেই রথযাত্রায় বেরিয়েছেন। কিন্তু এ বারও যদি ফসকে যায় তবে কি আমরা উল্টোরথ দেখব?
নরেন্দ্র। আমোদপুর

ছোটাবচ্চন আসছেন। তার বাড়িতে এক জন ‘শাহেনশা’, এক জন ‘রিফিউজি’, এক জন ‘গুড্ডি’, এক জন ‘উমরাও জান’! এ শিশু তো হওয়ার আগেই ‘ডন’!
পিঙ্কি লোধ। বালি

শাহরুখ কলকাতাকে আঁকড়ে ধরে শেষ চারে পৌঁছতে পারছেন না! এ বার সিটি সেন্টারে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে ফিল্মের টপ ফোরে (আমির, সলমন, অক্ষয়, শাহরুখ) থাকার মরিয়া চেষ্টা! রা-কে হরি রাখবে কি?
সৌরজিৎ ঘোষ। গল্ফগ্রিন

এ বার দীপাবলিতে নিষিদ্ধ হোক: শব্দবাজি, ধান্দাবাজি, রংবাজি, ফাঁকিবাজি, জুলুমবাজি এবং...!
বাজিগর। নুঙ্গি

টাকা নেই গরম আছে!
শঙ্কু শীল। দক্ষিণেশ্বর
কেউ চাইছে কোলে তুলতে, কেউ গলায় ঝুলতে।
কেউ চাইছে ভিড়ের ভেতর কেপমারির ফায়দা তুলতে।
গিয়েছিল ঘড়ি, চলে গেছে বালা।
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা, নাকি নাইট্যশালা?
আপনারা কি আছেন গাড়ির দরজা খুলতে?
ঘুঁটের মালা গলায় নত করুন হেড, ক্যাটেগরি জেড

বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়েই গিয়েছিল। ছোট্টবেলায় বাবা মারা গিয়েছেন। অনেকগুলো ভাইবোন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত মা আত্মীয়দের যেচে বাড়ি বয়ে নিয়ে আসা সম্বন্ধটা ফিরিয়ে দিতে সাহস করেননি। পড়তে পড়তেই তাই এক দিন শুভ দিন ক্ষণ দেখে বিয়েটা হয়েই গেল। বয়সের ফারাক একটু বেশি হলেও সরকারি চাকরি বলে মা মেনে নিয়েছিলেন। প্রথম দেখা শুভদৃষ্টির সময়ে।
বন্ধুদের কাছে শোনা গল্প আর শিখিয়ে দেওয়া কথা কিছুই মেলেনি বাস্তবে। তাই মনটা দমে গিয়েছিল। খারাপও একটু। এর পর পড়াশোনা সাঙ্গ করতে ফের সাউথে ফিরে যাওয়া নর্থ থেকে। উচ্ছ্বাস ও আবেগহীন অভিজ্ঞতা এতটাই ভাবপ্রবণ মনে আঘাত করেছিল যে, মনমরা হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হচ্ছিল। বিয়ের পর হানিমুন তো দূরের কথা তেমন করে এখানে-সেখানে বেড়াতে যাওয়া কিছুই হয়নি। এক আধ বার আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণে গেলেও দেওর বা ননদ সঙ্গে থেকেছে। তখনকার দিনে ঘরে ঘরে ফোন ছিল না। একটা চিঠি তো লেখা যেতে পারত।
যা-ই হোক, দেখতে দেখতে এসে গিয়েছিল ফাইনাল পরীক্ষার দিন। একাই পরীক্ষার হলে গিয়েছিলাম। পরীক্ষার হলে সকলের সঙ্গেই দু’এক জন করে এসেছে। যাদের বিয়ে হয়েছিল, তাদের শ্বশুরবাড়ি থেকেও কেউ না কেউ তো এসেছেই, কোনও কোনও ক্ষেত্রে স্বামীরাও।
ভারাক্রান্ত মনেই পরীক্ষা দিতে বসেছি। প্রথম-অর্ধ পরীক্ষা দিয়ে বাইরে বের হয়ে বারান্দারই এক ধারে বসে বইয়ের পাতা ওল্টাতে থাকি পরের পরীক্ষার জন্য। হঠাৎ সামনে একটা ছায়ার আভাস পেয়ে চোখ তুলতেই এক জোড়া অদ্ভূত সুন্দর দৃষ্টির সঙ্গে চোখ মিশেছিল। সে দৃষ্টিতে স্নেহ-প্রেম-ভালবাসা-আবেগ-প্রীতি-আবদার-প্রশ্রয় কী না ছিল। আর ছিল ঠোঁটে অল্প হাসি।
পরীক্ষার পর নর্থে ফিরে এসে আর সাউথে যেতে পারিনি এক দিনের জন্যও। বলতেন, মেয়েরা বিয়ের পর বাপেরবাড়ি বেশি গেলে সমাদর থাকে না। সুখে-দুঃখে সাতচল্লিশটা বছর কেটে গেল বেশ। টেরই পেলাম না।

মোহনবাগান কর্তৃপক্ষের খেলার মাঠে
এ বার নতুন নাম: কোচতাড়ুয়া!

রজতশুভ্র পাল, বাগবাজার
ক্ষমা চাইছি
রায়গঞ্জ থেকে ফিরছি। বহু দিন আগে থেকে রিজার্ভেশন করে লোয়ার বার্থ পেয়েছি। ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ছাড়তেই প্রৌঢ় সহযাত্রী অনুরোধ করলেন, তাঁকে লোয়ার বার্থটি ছেড়ে দিয়ে আমি যেন তাঁর মিডল বার্থটি নিই। তাঁর হার্টের অসুখ, উপরে শুতে ভয় করে। আমারও হাঁটুতে ব্যথা, তাই অনেক আগে থেকে টিকিট কেটেছি; কিন্তু হার্টের কাছে হাঁটু? মনে রাগ চেপে রেখেই রাজি হলাম। ভদ্রলোক বললেন নবদ্বীপে নামবেন। মালদহে গাড়ি এল রাত সাড়ে ন’টায়। তিনি তখনই শুয়ে পড়লেন, আমাকেও দোতলায় উঠতে হল। ট্রেনে আমার ঘুম আসে না, জেগেই আছি। আজিমগঞ্জ, খাগড়াঘাট, কাটোয়া পার হয়ে গেল। আর একটু পরেই নবদ্বীপ। লোকটি তখনও ঘুমিয়ে। মনে জমে ছিল রাগ তাঁকে ডাকলাম না। নবদ্বীপ পেরিয়ে গেল ট্রেন। ব্যান্ডেলে যখন নামছি, তিনি তখনও অঘোরে ঘুমিয়ে যাচ্ছেন। আজও সে রাতের কথা মনে পড়লে মনটা কেমন ছোট হয়ে যায়।
গৌতম ঘোষ, পানিহাটি

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১

নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।

২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.