রবিবাসরীয় গল্প
বিপুল নিকট
বৃদ্ধ মাথা নাড়লেন, ‘এ ভাবে আমাদের বংশের মুখে চুনকালি মাখালে বাবা!’
‘এ সব কী বলছেন দাদু!’ অজয় প্রায় আর্তনাদ করল।
‘মিথ্যে কিছু বলিনি। ভরা যৌবনের যুবতী নারীকে রাস্তা থেকে তুলে ঘরে এনে রাত কাটালে; তোমার বাবা-মা শুনলে কী হবে এক বার ভেবেছ?’ বৃদ্ধ বলল।
‘বিশ্বাস করুন, আমি আনতে চাইনি। ওই বিদ্যাসাগর মশাই এমন ভাবে বললেন যে অমান্য করতে পারিনি।’ অজয় বলল।
‘তাঁরা বড় মানুষ, তাঁদের কথা শুনলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের চলে? তাঁর কথা শুনে যদি আমি তোমার বাপের বিয়ে একটা বেধবার সঙ্গে দিতাম, তা হলে সে কি মেনে নিত? আমাদের গাঁয়ের জগদীশ করণের মেয়ে বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে বেধবা হয়েছে। বাচ্চাকাচ্চা হয়নি। তার সঙ্গে যদি তোমার বিয়ের সম্বন্ধ করা হয়, তুমি রাজি হবে?’
ধক করে উঠল বুকের ভেতরটা। জগদীশ করণের মেয়ে সুলেখা, দু’বছর আগে গাঁয়ে যখন গিয়েছিল সে তখন এক নির্জন সন্ধ্যায় অজয়কে বলেছিল, ‘তুমি তো আমার দিকে কখনও তাকাওনি, কিন্তু আমি তোমাকে ধূপের মতো ভালবেসে এসেছি। আমার বিয়ের সম্বন্ধ হচ্ছে। যদি বিয়ে হয়ে যায় তা হলে জানব আমার দ্বিতীয় বার বিয়ে হচ্ছে।’ অজয় কিছু বলতে পারেনি। সুলেখার বিয়ের খবরটা পেয়ে চার পেগ পান করেছিল।
এখন বলল, ‘আপনি যখন সব জানেন, তখন এটাও জেনেছেন আমরা এক ঘরে থাকলেও কেউ কাউকে স্পর্শ করিনি। তা ছাড়া এই মেয়ে তো ঠাকুমার মতো কেঁচো নয়, কেউটে সাপ। ছুঁতে গেলে ছোবল মারবে। কী? জানেন না?’
‘তা জানি! বললে যখন তখন বলি কেঁচোর সঙ্গে ঘর করা যায়, কেউটের সঙ্গে তো যায় না। যত তাড়াতাড়ি পারো বিদায় করো।’ বৃদ্ধ মাথা নাড়লেন।
বৃষ্টিটা কমে এল তখনই। মুখ ফিরিয়ে কথা বলতে গিয়ে হতাশ হল অজয়। ঠাকুর্দা নেই। যে ঠাকুর্দা আজ থেকে আট বছর আগে তালপুকুরে স্নান করতে গিয়ে হৃদরোগে মারা গিয়েছিলেন তিনি কোত্থেকে আজ এখানে চলে এলেন? গাঁয়ে গেলেই বাবা বলেন, ‘এক বার গয়ায় যা অজু, বাবার পিণ্ডদান করে আয়।’ অর্থাৎ পিণ্ড না দিলে ঠাকুর্দার মুক্তি হবে না। এই চরাচরে অদৃশ্য হয়ে মিশে থাকবে। তা হলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মশাইয়ের পিণ্ডি কেউ গয়ায় গিয়ে দেয়নি? কী জানি! মাইকেল মধুসূদন দত্ত তো খ্রিস্টান ছিলেন। গয়াতে পিণ্ড দানের বালাই ছিল না। কিন্তু এতটা কাল এঁরা কেউ তাকে দেখা দেয়নি। কথা বলেনি। এই মেয়েকে উপকার করতে যাওয়ার পরই এই সব দর্শন পাওয়া যাচ্ছে কেন? টিপটিপে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সে ঘরে ফিরে এল।
তাকে দেখে মেয়েটি বলল, ‘চা বানিয়েছিলাম, সেটা জল হয়ে গিয়েছে। আবার বসাচ্ছি!’ তাকে সক্রিয় হতে দেখে অজয় প্রশ্নটা না করে পারল না, ‘খোলাখুলি বলো তো, তুমি কে?’
‘কেন? আমাকে কি মানুষ বলে মনে হচ্ছে না?’ মেয়েটি হাসল।
‘তোমাকে গাড়িতে বসে বৃষ্টিতে হাঁটতে দেখলাম। পাগলের মতো হাঁটছ। তার পর আমার গাড়িতে ধাক্কা না লাগা সত্ত্বেও মাটিতে পড়ে গেলে। এমন পড়লে যে অজ্ঞান হয়ে গেলে। এমনি এমনি কেউ অজ্ঞান হয় নাকি?’
মেয়েটি জবাব দিল না। ফুটন্ত জলে চা ছাড়ল।
‘আমি দয়া করে যেই তোমাকে গাড়িতে তুললাম, অমনি মরে যাওয়া মানুষগুলো এসে আমাকে উপদেশ দিতে লাগল! এটা হল কেন?’
চা গুলতে গুলতে মেয়েটি বলল, ‘মায়ের কাছে শুনতাম, এঁটো জামাকাপড় পরে শুলে নাকি খারাপ স্বপ্ন দেখে। ভূতপেত্নিরা চলে আসে। কাল দুপুরে যখন খেয়েছিলেন তখন নিশ্চয়ই জামাপ্যান্টে মুখের এঁটো পড়েছিল।’
অজয় কথা বলল না আর।
চা খেয়ে সে ঘড়ি দেখল। যে সব রাস্তায় জল নেই, সেই সব রাস্তায় ট্রাই করলে হয়।
সে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল, ‘বাড়িতে চিন্তা করছে না?’
চায়ের কাপ-ডিশ ধুয়ে আনছিল মেয়েটি, বলল, ‘এক জনই চিন্তা করবে। কিন্তু আমি তাকে খবর দেব কী করে?’
‘মোবাইল ফোন নেই?’
‘পাশের বাড়িতে আছে।’
নিজের মোবাইল ফোন বের করে বিছানার ওপর রাখতেই বাইরে চিৎকার শোনা গেল। কেউ এক জন তার নাম ধরে ডাকছে। অজয় দ্রুত দরজার বাইরে মুখ বাড়াতেই দেখল পাড়ার চার জন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। এক জন বলল, ‘আমার মায়ের বোধ হয় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। আপনার ট্যাক্সি তো এখানেই, প্লিজ মাকে নিয়ে হাসপাতালে চলুন।’
‘এক মিনিট আসছি।’
দরজা ভেজিয়ে অজয় বলল, ‘আমাকে পেশেন্ট নিয়ে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। আপনি চটপট ফোন করে নিন।’ সে বাথরুমে ঢুকল প্যান্ট নিয়ে।
সেটা পরে বেরিয়ে এসে শার্ট গলাল, ‘ফোন পেয়েছেন?’
‘হ্যা।’
‘দিন ওটা। বৃষ্টি ধরলে যখন ইচ্ছে চলে যাবেন। কখন ফিরব জানি না।’
‘যদি সব চুরি করে নিয়ে যাই।’
‘পোষাবে না আপনার।’
পেশেন্ট তুলে হাসপাতালে পৌঁছতে যথেষ্ট বেগ পোহাতে হল। জল জমে আছে খুব। তার ওপর বৃষ্টি শুরু হয়েছে নতুন করে। দু’দুবার সাইলেন্সার পাইপে জল ঢুকতে ঢুকতেও ঢোকেনি। মহিলাকে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার পর সে দেখল যারা সঙ্গে এসেছিল, তারা সবাই সঙ্গে গিয়েছে। ভাড়া পেতে হলে ওদের জন্য অপেক্ষা না করে উপায় নেই। হঠাৎ অজয়ের মনে হল, মহিলা পাড়ার একটি ছেলের মা। এই বিপদের সময় ভাড়া চাওয়াটা খুব অশোভন হবে। সে একটু ভেতরে ঢুকে খোঁজাখুঁজি করতেই দলের এক জনকে পেয়ে গেল। জিজ্ঞাসা করল, ‘এখন কি গাড়ির দরকার হবে?’
‘না। থ্যাঙ্ক ইউ দাদা।’
‘তা হলে চলি।’
‘আপনার মিটারে কত উঠেছে।’
‘দুর! উনি ভাল হয়ে উঠুন তাই চাই।’ বলতে ভাল লাগল অজয়ের।
সে গাড়ির দরজা খুলতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল। একটি বেশ রোগা যুবক বসে আছে। মুখে ক’দিনের না-কামানো দাড়ি। গাল ভাঙা। চোখ দু’টি খুব উজ্জ্বল। দেখেই বোঝা যায় আদৌ সুস্থ নয় যুবক।
অজয় জিজ্ঞাসা করল, ‘কোথায় যাবেন?’
‘আমি!’
‘নেমে পড়ুন ভাই। এই জলে কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়।’
যুবক খুব ক্লান্ত গলায় বলল, ‘আমি তো কোথাও যেতে চাই না।’
‘তা হলে গাড়িতে উঠেছেন কেন?’
‘যদি বলেন তা হলে নেমে যাব।’ শ্বাস টানল যুবক।
‘আপনি দেখছি বেশ অসুস্থ। ডাক্তার দেখিয়েছেন?’
‘ওটা সাতচল্লিশ সালের ঊনত্রিশ বৈশাখেই শেষ হয়ে গিয়েছে।’
অজয় থতমত হয়ে গেল। ছেলেটা চৌষট্টি বছর আগেকার কথা বলছে। কিন্তু ওর বয়স তো একুশ বছরের বেশি নয়।
‘তুমি কে?’
‘আমি? আপনি কি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনেছেন? মানিকদা অনুগ্রহ করে আমার কথা লিখেছিলেন। আমার মতো সাধারণকেও সম্মানিত করেছিলেন। শুনুন তবে,
আমরা রোদ এনে দেব ছেলেটার গায়ে,
আমরা চাঁদা তুলে মারব সব কীট।
কবি ছাড়া আমাদের জয় বৃথা।
বুলেটের রক্তিম পঞ্চমে কে চিরবে
ঘাতকের মিথ্যা আকাশ?
কে গাইবে জয়গান?
বসন্তে কোকিল কেশে কেশে রক্ত তুলবে
সে কীসের বসন্ত?’

অজয়ের গলায় বাষ্প জমল। জিজ্ঞাসা করল, ‘আপনি এখানে কেন?’
যুবক ম্লান হাসল। যাদবপুরের যক্ষ্মা হাসপাতালের মেরি হার্বাট ব্লকে একটি লোক জমাদারের চাকরি করত। সুভাষদারা আমাকে সেখানেই ভর্তি করেছিল চিকিৎসার জন্য। সেখানে ওই লোকটির ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন বন্ধুরা, যাতে সে আমাকে দেখাশোনা করে। আটাশে বৈশাখ রাতে বিছানা থেকে উঠতে গিয়ে মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলাম। ময়লার মধ্যে পড়েছিলাম ঘণ্টা দুয়েক। সে আসেনি। অন্য রোগীরা জেগে উঠে আমাকে দেখে বিছানায় তুলে দিয়েছিলেন। পরের দিন আমি চলে এলাম। সেই জমাদারের চাকরি করা লোকটির তো পৃথিবীতে থাকার কথা নয়। কিন্তু আমি মাঝে মাঝে হাসপাতালগুলোতে এসে দেখি ওই রকম মুখের মানুষ এখনও এ সব জায়গায় কাজ করে কি না। কাকে খুঁজব? এখনকার সব মুখই তো ওই মানুষটির মতো হয়ে গিয়েছে। জানেন ভাই, এখনও আমার বিনিদ্র রাতে সতর্ক সাইরেন বেজে যায়। হায়, পৃথিবীর কোনও জঞ্জালই আমি সরাতে পারিনি। আমরাও নয়।’ যুবক শ্বাস ফেলল, তার পর বলল, ‘ভাল থাকার চেষ্টা করুন ভাই।’
অজয় মাথা নাড়ল। গলায় জমা বাষ্প যেন চোখে উঠে আসছে। সে গাড়ির দরজা খুলে আয়নায় চোখ রাখতেই দেখল পেছনে কেউ নেই। সে ঘুরে দেখল, সিট ফাঁকা।
এ সব কেন হচ্ছে। স্কুলে সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা বলে প্রাইজ পেয়েছিল সে। এই হাসপাতালে সে অনেক বার রোগী নিয়ে এসেছে, কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। আজই সেই কবে চলে যাওয়া মানুষটি তার সঙ্গে কথা বলে গেলেন। অজয় এখন সিদ্ধান্তে স্থির হল, ওই মেয়েটি আসার পরেই এই সব ঘটনা তার জীবনে ঘটে চলেছে।
মিটারে লাল কাপড় জড়িয়ে সে মালিকের গ্যারাজের উদ্দেশে রওনা হল। পথে অনেক হাত উঠছিল থামবার জন্যে, কিন্তু মন শক্ত রাখল সে। জল ভেঙে ভেঙে গাড়ি কোনও মতে গ্যারাজে ঢুকিয়ে মালিকের হাতে চাবি তুলে দিল। মালিক জিজ্ঞাসা করল, ‘ফিরবে কী করে?’
‘হেঁটে।’ অজয় বেরিয়ে পড়ল।
অতটা রাস্তা হাঁটার অভ্যেস ইদানীং অজয়ের ছিল না। গ্রামে থাকতে যা অস্বাভাবিক মনে হত না, আজ তা হল। দুটো পায়ে যেন ভার বাড়ছে। বাড়ি ফিরে ভেজানো দরজা খুলে তাকে দেখতে পেল না। আবার কোথায় গেল ভাবতেই খাটের ওপর বই চাপা দেওয়া কাগজটাকে দেখতে পেল।
কোনও সম্বোধন নেই, মেয়েটি লিখেছে, ‘বৃষ্টি ধরে গিয়েছে। মনে হচ্ছে চেষ্টা করলে চলে যেতে পারব। গত কাল থেকে আপনি যে উপকার করেছেন, তার জন্যে আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব। কোনও কোনও পুরুষ মানুষ যে আলাদা রকমের হয় তা আপনার জন্যে বুঝতে পারলাম। যদি কখনও এ দিকে আসি তা হলে দেখা করে যাব। আমি জানি, আপনি বিরক্ত হবেন না।’ চিঠির শেষে কোনও নাম বা ঠিকানা নেই।
হঠাৎ কী রকম ফাঁকা লাগল অজয়ের। ঠাকুর্দা মেয়েটিকে তাড়াতে বলে গেলেন। অথচ ও নিজেই চলে গেল। একটা রাত সে ছিল এই ঘরে। বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়েই কাটিয়েছে। কিন্তু তবু যেন ভরে ছিল এই ঘর। চিঠিটা দ্বিতীয় বার পড়ল সে। খুব আন্তরিকতায় ভরা। অথচ নিজের ঠিকানাটা লিখল না কেন? ও কি ভয় পেল? ঠিকানা লিখলে অজয় সেখানে গিয়ে হাজির হবে?সারাটা দিন বেকার গেল। বৃষ্টি আসছে, চলে যাচ্ছে। এক দিনের রোজগার ভাঁড়মে গেল। বেলা দুটোর সময় সে যখন দিবানিদ্রার চেষ্টা করছে, তখন দরজায় শব্দ হল। প্রায় লাফিয়ে নীচে নেমে দরজা খুলতেই দেখল একটা পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে।
‘আপনি অজয়? ট্যাক্সি ড্রাইভার?’
‘হ্যা।’ বেশ অবাক হল সে।
‘বড়বাবু ডাকছেন, থানায় চলুন।’
দরজায় তালা দিয়ে পুলিশের গাড়িতে চেপে থানায় গেল অজয়। বড়বাবু লোকটি খুব রোগা, নিরীহ দেখতে। বললেন, ‘কাল সন্ধ্যায় সল্ট লেকে গিয়েছিলেন।’
‘হ্যা।’
‘দেখুন তো, এই ছবির লোক দুটোকে চেনেন কি না!’
ছবিটা দেখল। ঘাড় নাড়ল, ‘হ্যাঁ স্যর। এরা কাল আমার গাড়ি আটকাতে চাইছিল। মাতাল বলে গাড়ি থামাইনি।’
‘লোক দুটো কমপ্লেন করেছে আপনি ওদের চাপা দিতে চেয়েছিলেন। নম্বরটা ওরাই বলেছে। কিন্তু আমরা খবর নিয়ে জানলাম ওরা একটা মেয়েমানুষকে গাড়িতে তুলে ফুর্তি করতে চেয়েছিল। সেই মেয়েটা পালিয়ে আপনার গাড়িতে ওঠে। চাপ দিতে ওরা কথাটা স্বীকার করেছে। সেই মেয়েটা কোথায়?’
‘বাইপাসে নেমে গিয়েছিল। কোথায় বাড়ি জানি না।’ ঝট করে অর্ধসত্য বলল অজয়।
‘এ রকম উটকো মেয়েকে গাড়িতে তুলবেন না।’
‘না স্যর, আর তুলব না।’
‘যদি কেস ওঠে তা হলে খবর দেব। সাক্ষী দিতে হবে।’
‘ঠিক আছে স্যর। যখনই বলবেন চলে আসব।’
বাড়িতে ফিরে অনেকক্ষণ ঝুম হয়ে বসে থাকল অজয়। লোক দুটো গায়ের জ্বালা মেটাতে মিথ্যে বলে ফেঁসে গিয়েছে। কিন্তু মেয়েটা কি সব সত্যি বলেছে! হঠাৎ মনে পড়ল, মেয়েটা তার মোবাইল থেকে পাশের বাড়িতে ফোন করেছিল। সে ঝট করে পকেট থেকে মোবাইল বের করল।

(ক্রমশ)
ছবি: সায়ন চক্রবর্তী



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.