পাঁচটি নরখুলি সাজানো থাকবে মাটিতে। তার উপরে আসন পেতে বসবেন পুরোহিত। পায়রা, পাঁঠা, বোয়াল মাছের পাশাপাশি কুমরো, কচু মিলিয়ে সাত রকম বলি হবে। দিনহাটার সংহতি ময়দানে ওই তান্ত্রিক রীতি মেনে এ বারও উনিশ হাত কালীপুজোর আয়োজন হয়েছে। আয়োজক ‘নাম নেই সঙ্ঘ’। যদিও আয়োজক সংস্থার নাম খুব একটা শোনা যায় না এলাকায়। কারণ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ওই পুজো ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা উদয়ন গুহের নামে বেশি পরিচিত। কেন এমন নামের প্রচলন হবে না! উদয়নবাবু যে ওই পুজো কমিটির সভাপতি। কলেজে পড়ার সময় কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে পুজো শুরু করেন। এ বার তিনি বিধায়ক। কিন্তু ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দিতে ভুলছেন না। শুধু কী তাই! আগের মতো রাত জেগে পুজো দেখার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। দলীয় কাজের ফাঁকে দৌড়ঝাপ করছেন। ছেলেদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন। উদয়নবাবু বলেন, “ওই পুজোর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। যে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম পুজো আয়োজন করেছিলাম তাঁদের সঙ্গে দেখা হবে। আড্ডা জমবে। এলাকার প্রচুর মানুষ আসবেন। তাঁদের সঙ্গেও দেখা হবে। এটা কম বড় পাওনা নয়।” প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্বে। দু’এক দিনের মধ্যে রঙের পোচ পড়বে। মণ্ডপ তৈরির প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। পুজো উপলক্ষে সংহতি ময়দানে মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। প্রতিটি কাজ খুঁটিয়ে দেখতে হচ্ছে উদয়নবাবুকে। তিনি বলেন, “অন্য বছরগুলিতে জ্যাঠতুতো ভাই বাসু গুহ পুজো আয়োজনের অনেক দায়িত্ব পালন করত। এ বার সে অসুস্থ। তাই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আশা করছি আয়োজনে খামতি থাকবে না। রীতি মেনে সমস্ত কাজ হবে।” নাম নেই সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরুতে প্রতিমা ছিল সওয়া এগারো হাত উঁচু। এর পরে প্রতি বছর একটু একটু করে উচ্চতা বেড়েছে। সব শেষে হয়েছে উনিশ হাত। আয়োজকরা ঠিক করেছেন প্রতিমার উচ্চতা আর বাড়ানো হবে না। এর পর থেকে পুজো ‘উনিশ হাত কালী পুজো’ নামে পরিচিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে প্রতিমা তো বটেই। পুজোর রীতিও সমান ভাবে আকর্ষণীয়। আয়োজক সংস্থার সভাপতির অনুরোধে তন্ত্র মতে পুরোহিতের শুরু করা পুজো দেখার জন্য ছেলে থেকে বুড়ো প্রত্যেকে রাত জাগেন। পুজোর রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় মেলা। শহরের বাসিন্দারাভিড় করেন। পুজোর পরে শিবা ভোগ দেওয়া হয়।
|
বিধানসভা নির্বাচনের আগে হোম আবাসিকদের কোটায় কোচবিহারে ৩৫ জনের নিয়োগ নিয়ে স্বাজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। আইএনটিটিইউসি নিয়ন্ত্রিত কোচবিহার জেলা আইসিডিএস সেবা প্রকল্প ইউনিয়ন ওই অভিযোগ তুলেছে। শুক্রবার সংগঠনের তরফে বিষয়টির তদন্ত দাবি করে কোচবিহারের জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ইউনিয়ন নেতৃত্বের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে জেলায় হোম আবাসিকদের কোটায় ৩৫ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগপত্র পান। অথচ জেলা প্রশাসনের তরফে জেলার পাঠানো তালিকায় তাদের নাম ছিল না। জেলার শহিদ বন্দনা স্মৃতি হোমেরও কারও নামে নিয়োগপত্র আসেনি। ইউনিয়নের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী শুচিস্মতা দেবশর্মা বলেন, “হোম কোটায় নিয়োগপত্র প্রাপকরা কেউ হোমের আবাসিক নন। বাম জমানায় স্বজনপোষণ করে তাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত।” জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “ডিরেক্টর অফ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার দফতর ওই নিয়োগপত্র দেয়। অভিযোগের বিষয়টি তাদের কাছে পাঠানো হবে।”
|
নিখোঁজ নেতা ফিরলেন বাড়িতে। ইসলামপুর থানার গুঞ্জরিয়া এলাকার কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ হুদা বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার তিনি নিজেই বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এসডিপিও ইন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “বাড়ির লোকদের কিছু না জানিয়ে তিনি দার্জিলিংয়ে চলে গিয়েছিলেন। শুক্রবার তিনি নিজেই বাড়ি ফিরে আসেন। এ দিন তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়েছে।”
|
ফেটে যাওয়া চাকার টায়ার মেরামত করার সময়ে অন্য একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক ট্রাক চালক ও খালাসির। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার কালদিঘি রাজ্য সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম পূর্ণেন্দু দত্ত (৪২) এবং সঞ্জয় রবিদাস (৩৫)। দু’জনেই মালদহের বাসিন্দা। পুলিশ ঘতক ট্রাকের চালককে খুঁজছে।
|
কোচবিহার-১ ব্লকের তিনটি রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, টাপুরহাট থেকে গোসানিমারি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পুরোপুরি বেহাল হয়ে পড়েছে। রাস্তা জুড়ে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। কলাকাটা থেকে ধুমপুর যাতায়াতের ১০ কিলোমিটার রাস্তা এবং আকরাহাট থেকে সুঙসুঙি বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তাও পুরোপুরি বেহাল। তৃণমূলের কোচবিহার-১ ব্লক সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন, “তিনটি রাস্তাই জেলা পরিষদের অধীন। সংস্কার না-হলে আন্দোলন হবে।”
|
শহরের মেয়েদের স্কুল লাগোয়া এলাকায় ইভটিজিং চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার শহর কমিটি। সংগঠন থেকে সম্প্রতি এ ব্যাপারে কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। |