|
|
|
|
তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
পুলিশ আবাসনে তড়িদাহত হয়ে এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক অফিসার। শুক্রবার দুপুরে ইসলামপুর থানার পুলিশ আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে। বাথরুমের একটি বিদ্যুতের তাঁর ছিঁড়ে শটসার্কিট থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সহকারি সাব ইন্সপেক্টরের নাম মদন ছেত্রী (৪৮)। তাঁর বাড়ি দার্জিলিং জেলার কালিম্পঙে। তিনি ইসলামপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। ডিউটির পরে ঘরে ফিরে তিনি বাথরুমে স্নান করতে যান। ওই সময়ে ঘটনাটি ঘটে। তড়িদাহত হয়ে মদনবাবু লুটিয়ে পড়লে হইচই শুনে লাগোয়া পুলিশ মেসের কর্মী জামশেদ খান ছুটে যান। তিনি মদনবাবুকে তুলতে গিয়ে তড়িদাহত হন। পরে অন্য পুলিশ কর্মীরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। মদনবাবুকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জামশেদ শেখকে প্রথমে ইসলামপুর হাসপাতালে পরে সেখান থেকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার পর ইসলামপুর থানার আবাসনে শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ আবাসনের বেহাল দশা নিয়ে পুলিশ কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ওই আবাসনে যান ইসলামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। মন্ত্রী আবাসনের পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। ইসলামপুরের এসডিপিও ইন্দ্র চক্রবর্তী এবং আইসি সমীর পাল থানার আবাসনের বেহাল দশার কথা বলেন। পুলিশ অফিসারেরা মন্ত্রীর সামনেই পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, “পুলিশ আবাসনের অবস্থা খুবই খারাপ। তড়িদাহত হয়েই ওই অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। মাঝেমধ্যেই থানার আবাসনগুলির সংস্কার প্রয়োজন। ইসলামপুর থানার আবাসনের বেহাল দশার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলব।” এদিনের ঘটনার পর এসডিপিও জানান, আবাসনের বিদ্যুৎ-এর বেহাল দশা নিয়ে পূর্ত দফতরকে বহুবার জানানো হয়েছে। পূর্ত দফতর ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ আবাসনের দায়িত্বে আছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু ওই বিভাগের সহকারি বাস্তুকার (ইলেকট্রিক্যাল) দেবকুমার ঘোষ বলেন, “ওই আবাসন আমাদের আওতায় নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|