|
|
|
|
জামিনে মুক্ত তৃণমূল নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
বেসামাল অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এক পুলিশ কর্মী-সহ ১০ জনকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অমল চন্দ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরের রঘুনাথপুর থেকে গাড়ি নিয়ে নিউ মার্কেটের দিকে যাওয়ার সময়ে ওই তৃণমূল নেতা পর পর পথচারীদের ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। উত্তেজিত জনতা গাড়ি আটকে ভাঙচুর চালায়। ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৭, ৩৩৮, ২৭৯ এবং ৪২৭ ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে হাজির করে। ঘটনার দিন ওই নেতা নিজেকে তৃণমূল সেবা সমিতির জেলা সভাপতি হিসাবে দাবি করেন। তৃণমূলের তরফে অবশ্য এদিন দাবি করা হয়, অমলবাবু দলের সমর্থক ছাড়া কিছুই নন। দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “অমলবাবু দলের সমর্থক। কিন্তু তৃণমূল সেবা সমিতি নামে আমাদের কোনও সংগঠন নেই। দলের কোনও নেতার যদি অমলবাবুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকে তবে তা না-রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” এই ব্যাপারে অমলবাবু কোনও মন্তব্য করেননি। তবে জেলা সভাপতির ওই বক্তব্য মানতে চাননি দলের একাংশই। তাঁদের বক্তব্য, বালুরঘাট হাসপাতাল এলাকায় তৃণমূল সেবা সমিতি গঠন করে অমলবাবুকে তাঁর সভাপতি মনোনীত করা হয়েছিল। স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা প্রচারও করা হয়। পেশায় ঠিকাদার অমলবাবুর গাড়িতে দলের এক জেলা নেতাকে প্রায়ই ঘুরতে দেখা যায় বলেও একাংশ তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনার পরে অমলবাবুকে থানা থেকে ছাড়ানোর জন্য দলের নেতাদের একাংশকে দৌড়ঝাপও করতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। অমলবাবুকে কেন জামিনযোগ্য ধারায় বালুরঘাট থানা অভিযুক্ত করেছে সেই প্রশ্নও তুলেছেন বালুরঘাট আদালতের আইনজীবীদের একাংশ। আইনজীবী দেবেশ মজুমদার অভিযোগ করেন, “অমলবাবুর গাড়ির ধাক্কায় জখম বিশ্বনাথ বসাক নামে এক প্রৌঢ়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ক্ষেত্রে পুলিশ নিজে থেকেই মামলা করতে পারত।” দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “একজন থানায় অভিযোগ জানানোর পরে অমল চন্দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ ক্ষেত্রে পুলিশ নিজে থেকে মামলা করতে পারে না। তবে যে ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক তাঁর পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করলে সেটি ওই মামলায় জুড়ে দেওয়া হবে।” এদিন ওই প্রৌঢ়ের স্ত্রী প্রবিতা দেবী বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মালদহের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ওই প্রৌঢ়ের এখনও জ্ঞান ফেরেনি বলে জানা গিয়েছে। ওই নার্সিংহোমের নিউরো সার্জেন সুশেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর মাথার বিভিন্ন অংশ আঘাত লেগে রক্ত জমাট বেঁধেছে।” |
|
|
|
|
|