|
|
|
|
উদ্ধার হল কঙ্কালও |
সোনার দোকানে লুঠের ঘটনায় ধৃত আরও এক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
শিলিগুড়িতে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের এক সঙ্গীর কঙ্কাল উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে ডুয়ার্সের কালচিনির মধু জঙ্গলের একটি ঝোপ থেকে মুণ্ডহীন ওই কঙ্কাল উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, কঙ্কালটি ধৃত দুষ্কৃতীদের সঙ্গী মহম্মদ মনিরুল হক ওরফে মণ্ডলের (৩০)। বানারহাটের ডায়না চা বাগানের নিউ লাইনের বাসিন্দা ওই যুবককে গত জুন মাসে পঙ্কজ শর্মা ওরফে পণ্ডিত, প্রকাশ সরকার এবং রামকৃষ্ণ সাহা মিলে গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ। তার পরে দেহটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। চার মাস মৃতদেহটি এ ভাবে পড়ে থাকায় আগাছায় ঢাকা পড়ে।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “হাসিমারা থেকে রামকৃষ্ণ সাহাকে ধরার পরে জেরা করতে গিয়ে মনিরুলের খুনের ঘটনাটি টের পাওয়া যায়। আজ সকালে রামকৃষ্ণের কথামতো মধু জঙ্গলে বাসরা নদীর কাছে বাঁদরখোলা পিকনিক স্পটের কাছে মাটি খুঁড়ে কঙ্কালটি মেলে।” ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কঙ্কালটি পাঠানো হবে। দেহটি মনিরুলের কি না সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষাও করবে। |
|
ছবি: নারায়ণ দে। |
শিলিগুড়ির সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গত ২৯ সেপ্টেম্বর জুল্লাত, পণ্ডিত-সহ ৫ জনকে ধরে। উদ্ধার হয় ডাকাতির সোনা এবং প্রচুর অস্ত্র। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতি করা ছাড়াও পণ্ডিত অসমে অস্ত্র সরবরাহ করত। পরে তদন্তের সূত্র ধরে রামকৃষ্ণ-সহ আরও ১১ জনকে ধরা হয়। বৃহস্পতিবার রামকৃষ্ণকে জেরা করে মনিরুলের হত্যার ঘটনাটি টের পেয়ে জয়গাঁ থানার ওসি বিনোদ গজমের এবং কালচিনি থানার ওসি আর এল ভুটিয়া ওই জঙ্গলে যান। মাটি খুঁড়ে ধুসর রঙের প্যান্ট পড়া মুণ্ডহীন কঙ্কাল উদ্ধার হয়। মনিরুলের ভাই মহম্মদ মজিসুল তার দাদার প্যান্ট দেখ দেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মনিরুল ফালাকাটা পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি, জয়গাঁ বাসস্ট্যান্ডে ডাকাতি ছাড়াও বানারহাট এলাকায় বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত। দলের মধ্যে মনিরুল তার দখল বাড়াচ্ছিল বলে পণ্ডিত জানতে পারে। তার পরেই ১ জুন পরিকল্পিত ভাবে মোটর বাইকে চড়িয়ে পণ্ডিত, প্রকাশ ও রামকৃষ্ণ মধু জঙ্গলে মনিরুলকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়ার পরে নাইন এমএম পিস্তল থেকে চার রাউন্ড গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলে মনিরুলের মৃত্যু হয়। এদিকে, পণ্ডিতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, জুল্লত অসমের এনডিএফডি-সহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনকে প্রচুর অস্ত্র বিক্রি করেছে। পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী বিহারের মুঙ্গেরে পণ্ডিতের বাড়িতে তল্লাশির জন্য গিয়েছে। অস্ত্র কেনার অভিযোগে রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী-সহ হ্যামিলটনগঞ্জের তিন জনকে জেরা করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|