|
|
|
|
ফের ডেন্টাল কলেজে জয় |
মেডিক্যালেও ভাঙন রুখল এসএফআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পরিবর্তনের হাওয়া, দাবি-পাল্টা দাবির মাঝেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদ তাঁদেরই হাতে রয়েছে জানিয়ে তার রীতিমত ‘প্রমাণ’ দিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। শুক্রবার দুপুরে হিলকার্ট রোডের দলীয় দফতরে কলেজের সংসদের ৬ জন সদস্যকে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির করেন এসএফআই নেতারা। গত কয়েকদিন ধরে ওই সদস্যরা তাঁদের সংগঠনে যোগ দিতে চলেছেন বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতারা। মোট ১১জন নির্বাচিত সদস্য দলত্যাগ করতে চলেছেন বলেও তৃণমূলের তরফে দাবিও করা হয়। এসএফআই-র দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সৌরভ দাসের বক্তব্য, “কেউ তৃণমূলে যোগ দেয়নি। মেডিক্যাল কলেজের সংসদ আমাদের হাতেই আছে। ডেন্টাল কলেজের সংসদ নির্বাচনের আগে ছাত্রছাত্রীদের প্রভাবিত করতে তৃণমূল মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল। সবাই আমাদের সঙ্গে আছেন। এদিন ছয়জন এসেছিলেন। বাকিদের পরীক্ষা চলায় আসতে পারেনি।” আর যাঁদের নিয়ে এক শোরগোল সেই সদস্যদের পক্ষে মাইকেল বিশ্বাস বলেন, “আমরা কেউ তৃণমূলে যোগ দিইনি। এসএফআই-র কর্মী হিসাবে তাঁরা সংসদের কাজ করে যাবেন। বিষয়টি নিয়ে অহেতুক হইচই করা হয়েছে। ১১ জনই এসএফআই-র সঙ্গে আছেন।” যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডা বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের ওই সদস্যরা আমাদের সংগঠনে যোগ দিতে চেয়ে লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এসএফআই মিথ্যে বলছে। সময় হলেও সব প্রকাশ্যে আসবে।” মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, সম্প্রতি সংসদের সদস্যের মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে গত ২১ সেপ্টেম্বর ১১ নির্বাচিত সদস্য কর্তৃপক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। পরে নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর ২৮ সেপ্টেম্বর পদত্যাগপত্রগুলি প্রত্যাহার করে নেন। বৃহস্পতিবারই কলেজের কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে বর্তমান সংসদ তার পুরো মেয়াদ শেষ করবে। এখনই ছাত্র সংসদের নির্বাচন হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমার ডেন্টাল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ১৮টি আসনের সব কটিতেই পুনরায় দখল করে এসএফআই। বিরোধীরা একটি আসনেও জিততে পারেনি। এতে উজ্জীবিত এসএফআই নেতারা। সৌরভ দাস এ দিন বলেন, “পরিবর্তনের হাওয়া উপেক্ষা করে ডেন্টাল কলেজে আমরা ফের জিতেছি। বিরোধীরা নানা কৌশল অবলম্বন করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, ডেন্টাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও এসএফআই পরিকল্পিত ভাবে অনিয়ম করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেববাবু বলেন, “একদিনের মধ্যে মনোনয়ন পত্র তুলে জমা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরিকল্পিতভাবে নানা অনিয়ম করে এসএফআইকে জিতিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। তাই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। পুনরায় নির্বাচনের দাবি ইন্ডিয়ান ডেন্টাল কাউন্সিলে জানানো হবে।” কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কলেজের অধ্যক্ষ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “নিয়ম মেনে নির্বাচন হয়েছে।” |
|
|
|
|
|