কালীপুজোর মুখে সুখবর!
দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও আকাশ পরিষ্কার থাকার পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই সঙ্গে শীতলতার বার্তাও। আলিপুর জানিয়েছে, কাল রবিবার সকাল থেকে আকাশে মেঘের আনাগোনা কমবে। আকাশ পরিষ্কার হয়ে উত্তুরে হাওয়ার পথ খুলবে। দমচাপা গুমোট দূর হয়ে স্বস্তি আসবে।
হেমন্ত এসে গেলেও এখনও ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দুর দেখা নেই। বরং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। এখানে-ওখানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও হচ্ছে। শুক্রবারও যেমন সকাল থেকে আকাশে ছিল ঘন মেঘ। উত্তর শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় ভাল বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত বারাসত, ব্যারাকপুর, দমদম, সল্টলেকে তো মুষলধার বর্ষণে জল জমে যায়। বিকেলে দক্ষিণ শহরতলিতেও জায়গায় জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ঘূর্ণাবর্তের জেরে স্থানীয় ভাবে তৈরি বজ্রগর্ভ মেঘ থেকেই এই বৃষ্টি। যা কিনা বর্ষার শেষে স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এ দিন যে সব জায়গায় বৃষ্টি হয়নি, সেখানে একই অবস্থা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় মানুষ গলদঘর্ম।
মৌসুমি বায়ু এক সপ্তাহ আগে রাজ্য ছাড়লেও কখনও নিম্নচাপ, কখনও বা ঘূর্ণাবর্তের জেরে আকাশে যেমন মেঘ ঢুকেছে, তেমনই বৃষ্টি হয়েছে কোথাও কোথাও। দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গেই বেশি। তবে মৌসুমি বায়ুর উপস্থিতি সত্ত্বেও পুজো মোটামুটি শুকনো গিয়েছে। কিন্তু পুজোর পরে এক পক্ষকাল আবহাওয়া ছিল চূড়ান্ত বিরূপ। বর্ষা বিদায়ের পরে আকাশ যতক্ষণ না পরিষ্কার হয়, ততক্ষণ শীতের অনুকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় না। আকাশ পরিষ্কার হলে উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া ঢোকার পথ খুলে যায়।
এত দিন সেটাই হয়নি। কোনও না কোনও ভাবে মেঘ ঢুকে উত্তুরে বাতাসের পথ আগলে দাঁড়িয়ে ছিল। ফলে শেষ আশ্বিনেও ভরা ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন মানুষ। চড়চড়িয়ে উঠছিল অস্বস্তির পারদ।
এ বার স্বস্তির ইঙ্গিত মিলেছে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, মায়ানমার উপকূলে সৃষ্ট নিম্নচাপ বৃহস্পতিবার অতি দুর্বল হয়ে বিদায় নিয়েছিল। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণাবর্তও বিদায় নেবে। আলিপুরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথের কথায়, “পরের পর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তে যে অস্বস্তিকর আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, শনিবার রাতে তা কাটতে শুরু করবে। রবিবার সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে। তৈরি হবে শিশির পড়ার অনুকূল পরিস্থিতি।” |