মৃত ১, জখম ৬
আগুন নেভাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় দমকলের ইঞ্জিন
থা ছিল তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে। তিন বছরের সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়ে ছ’বছর হতে চলল, কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার কাটাখাল নদীতে হাসনাবাদ থেকে পার হাসনাবাদ সেতুর কাজ এখনও অসম্পূর্ণই থেকে গিয়েছে। এখনও রোজ সুন্দরবন এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দাকে নৌকাতেই পারাপার করতে হচ্ছে। অনেকেই ভেবেছিলেন রাজ্যে ক্ষমতার হাত বদলের পরে কাজে গতি আসবে। কিন্তু তা আর হয়নি। কিছু দিন আগে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় মানুষজন সেতু তৈরর কাজে ঢিলেমি নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে খাদমন্ত্রী বলেন, “অল্পদিনের মধ্যেই তিনি পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সীকে নিয়ে হাসনাবাদে আসবেন। সেতু তৈরির কাজ শেষ করতে কেন দেরি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দুর্ঘটনাগ্রস্ত দমকলের গাড়ি।-নিজস্ব চিত্র্র
দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পিছনে দমকলের ইঞ্জিনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। জখম দুই দমকলকর্মী-সহ ৬ জন। শুক্রবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বনগাঁর ঘাটবাওড় এলাকায় বনগাঁ-বাগদা সড়কে। সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতার পরিচয় জানা যায়নি। জখম দমকলকর্মী রাধারমণ পাল, স্বপন সাহা-সহ বাকিদের বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ ঘাটবাওড় থেকে একটি ট্রাক তুলো নিয়ে বনগাঁ শহরের দিকে যাচ্ছিল। তুলো ঢাকা দেওয়া ছিল না। স্থানীয় বিভূতিভূষণ গভর্নমেন্ট পিটিটিআই-এর সামনে ওই ট্রাকের তুলোতে কোনও ভাবে আগুন ধরে যায়। স্থানীয় লোকজন জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু হাওয়ায় আগুন বাড়তে থাকে। তা দেখে কিছু তুলোর স্তূপ রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। মিনিট দশেকের মধ্যে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় জল বেরোয়নি। তখন আরও কিছু তুুলোর স্তূপ রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। রাস্তার দু’ধারে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়।
বেহাল বনগাঁ-বাগদা সড়ক ধরে দমকলের দ্বিতীয় ইঞ্জিনটি আসতে গিয়ে বাগদাগামী একটি বাসের পিছনে ধাক্কা মারে। বাসটি প্রায় ২০ ফুট এগিয়ে যায়। চার বাসযাত্রী ও দুই দমকলকর্মী জখম হন। বাসের সামনেই ছিলেন এক মহিলা। তিনি চাপা পড়েন। বাসটি এর পরে সামনে থাকা কয়েকটি ভ্যান, গাড়িতে ধাক্কা মারে। তাতেও কয়েক জন জখম হন। আহতদের বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রৌঢ়া মারা যান।
এই দুর্ঘটনার পরে হাবরা থেকে আরও একটি ইঞ্জিন এসে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। দমকলের অনুমান, রাস্তার উপরে থাকা বিদ্যুতের তার থেকেই সম্ভবত তুলোতে আগুন ধরে যায়। যানজট কেটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে যায়। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এত বড় ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও পুলিশ দেরি করে ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ মানেনি। হাসপাতালে জখমদের দেখতে যান বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গোপাল শেঠ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.