|
|
|
|
মেলার পরিকাঠামো দেখতে গঙ্গাসাগরে দুই মন্ত্রী, জেলাশাসক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাগর |
গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হতে এখন দু’মাসেরও বেশি সময় বাকি। তবু মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে খোঁজখবর করতে শুক্রবার দুপুরেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা হাজির হলেন সাগরে। এদিন সাগরে যান পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সী, আন্তঃরাজ্য জলপথ পরিবহণমন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি, জেলাশাসক নারায়ণ স্বরূপ নিগম প্রমুখ। বৃহস্পতিবারই জেলার সদর দফতর আলিপুরে পুলিশ লাইনের কনফারেন্স রুমে জেলার উন্নয়নের কাজকর্মের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। উন্নয়নের কাজ যে কোনওরকম বাধা এবং গাফিলতি তিন বরদাস্ত করবেন না তাও জানিয়ে দেন। তিন মাস পরে জেলায় উন্নয়নের কাজ কতটা এগিয়েছে তা তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন কর্মসংস্কৃতির তাগিদেই তাঁরা তড়িঘড়ি সাগরমেলার ব্যবস্থাপনা সরেজমিন প্রত্যক্ষ করতে এসেছেন কি না জানতে চাওয়া হলে জেলাশাসক জানান, প্রতি বছরই মেলার মাস দু’য়েক আগে এসে এখানকার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হয়। এ বার সেই ভাবেই আসা। প্রসঙ্গত, বিরোধী নেত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার গঙ্গাসাগর মেলায় আসা পূণ্যার্থীদের স্বার্থে তীর্থকর মকুব করার দাবি জানিয়েছিলেন। রাজ্যে ক্ষমতা হাত বদলের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি এ বার মেলাক তীর্থকর মকুব করে দিয়েছেন। |
|
শুক্রবার সাগরে কপিলমুনির মন্দিরে মন্ত্রী সুব্রত বক্সী (বাঁ দিকে) এবং
জেলাশাসক নারায়ণস্বরূপ নগম (ডানদিকে)। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
এ দিন দুপুরে দুই মন্ত্রী, জেলাশাসক ও বিভিন্ন দফতরের কয়েকজন আধিকারিক প্রথমে কাকদ্বীপের লট-৮ জেটিঘাট থেকে লঞ্চে মুড়িগঙ্গা পার হয়ে সাগরে কচুবেড়িয়া যাওয়ার পথে লট-৮ জেটিঘাটের পরিকাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেন। জেটিঘাটের সংস্কারের ব্যাপারে পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সী ভূতল পরিবহণ দফতরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আশিস ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সুব্রতবাবু, হায়দার আজিজ সফি, জেলাশাসক ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে যান চেমাগুড়ি এবং গঙ্গাসাগর মেলাপ্রাঙ্গণে। মেলার সময় নামখানা থেকে তীর্থযাত্রীরা মুনিগঙ্গা নদী পার হয়ে চেমাগুড়িতে আসেন। কিন্তু চেমাগুড়িতে নদীতে চর পড়ার কারণে তাঁদের চরম ভোগান্তি হয়। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেন দুই মন্ত্রী। চরের পলি কাটার ব্যাপারে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলতে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। মেলায় যেখানে তীর্থযাত্রীদের জন্য অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয় সেখানে কোনও পাকাভবন তৈরি করে স্থায়ী আস্তানা করা যায় কি না সে ব্যাপারেও পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূর্তমন্ত্রী। পরে মন্ত্রী বলেন, “এই প্রথম রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর মেলার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবে। মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। তাঁদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সে জন্য সমস্ত বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সমস্ত বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।”
|
|
|
|
|
|