ইঞ্জিন থেকে ছিটকে গেল রেক, কয়লা লুঠ |
ধুলিয়ান থেকে সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে একটি মালগাড়ির ১১টি রেক আচমকাই ইঞ্জিন থেকে ছিটকে যায়।
নিমতিতা স্টেশনে ঢোকার মুখে কয়লা বোঝাই রেকগুলি খুলে গিয়ে বিকট শব্দে থমকে যায় লাইনের উপরেই। শুক্রবার দুপুরে ওই দুর্ঘটনার পরেই আশপাশের গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা নেমে পড়েন কয়লা লুঠ করতে। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে ঝুড়ি, থলে, ব্যাগ ভর্তি কয়লা চলে যেতে থাকে মধুপুর, ভাঙালাইন, নতুন শিবনগরে। পরে আরপিএফের জওয়ানেরা ওই গ্রামগুলিতে হানা দিয়ে কয়লা উদ্ধার করতে না পারলেও চার গ্রামবাসীকে আটক করে। রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই মালগাড়ি মণিগ্রামে সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাচ্ছিল। নিমতিতা স্টেশনের আউটার সিগন্যাল পার হওয়ার সময়েই ইঞ্জিনের সঙ্গে রেকগুলির সংযোগ কোনওভাবে ছিন্ন হয়ে যায়। স্টেশনের হোম সিগন্যালের আগেই ব্যাপারটা নজরে আসে চালকের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জরুরি ব্রেক কষে মালগাড়িটি থামিয়ে দেন চালক। রেকগুলি এসে সজোরে ধাক্কা মারে ইঞ্জিনের গায়ে। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়লে স্থানীয় গ্রামবাসীরা পিছনের ৪টি বগি থেকে কয়লা বের করে নিতে থাকেন। বেলা ১টা নাগাদ ইঞ্জিনটি মেরামতির পরে মনিগ্রামের দিকে রওনা দেয়। নিমতিতা স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অনুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চলন্ত অবস্থায় সংযোগ ছিন্ন হয় মালগাড়িটির। স্টেশনে সেই সময়ে কোনও ট্রেন ছিল না। কিছু দুর গিয়ে ইঞ্জিনটি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে কয়লা লুঠ হয়েছে অনেকটাই।” রেল নিরাপত্তা বাহিনীর নিমতিতা মালদহের ডিআরএম হর্ষ কুমার বলেন, “কী ভাবে এই দুর্ঘটনার সম্ভবনা দেখা দিল এবং কয়লা লুঠের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
|
কালীপুজোর আগে বহরমপুরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে পুলিশ গত কয়েক দিনে প্রায় দু-লক্ষাধিক টাকার বেআইনি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। তার মধ্যে খাগড়ার ২২ পল্লি এলাকা থেকে প্রায় ৫ হাজার শব্দবাজির প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বহরমপুর থানার আইসি প্রমোদরঞ্জন বর্মণ বলেন, “খাগড়ার ২২ পল্লি এলাকায় একটি গুদামে হানা দিয়ে ওই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী পলাতক।” আইসি বলেন, “এর আগে ইন্দ্রপ্রস্থ, খাগড়া, গোরাবাজার, স্বর্ণময়ী এলাকা থেকে বেআইনি শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
|
ধান খেতে পড়ে থাকা বোমা ফেটে জখম হয়েছে দুই বালক। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বড়ঞার শ্রীহট্টে। জখম দুই বালকের নাম সাহাজুদ্দিন শেখ ও সোনারুল মল্লিক। বছর বারোর ওই দুই বালকের বাড়ি স্থানীয় একঘড়িয়া গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে অন্যের জমিতে ধান কাটতে গিয়েছিল তারা। সঙ্গে আরও দু’জন ধান কাটার কাজ করছিলেন। তাদের কাস্তের আঘাতে জমিতে লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে যায়। সাহাবুদ্দিন ও সোনারুলকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিত তদন্তে পুলিশের অনুমান, গত কয়েক মাসে ওই গ্রামে বোমাবাজির বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এলাকার দুষ্কৃতীরা ওই বোমা ধানের জমিতে রাখে বলে পুলিশের অনুমান। তবে এ ব্যপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
স্কুল পরিচালন সমিতি গঠন সংক্রান্ত সভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ফুলিয়ায় দু’দল তৃণমূল সমর্থকের মধ্যে হাতাহাতি বাধে। তবে ঘটনাটি দলের জেলা নেতৃত্ব যে ভাল চোখে দেখছে না তা যুব কল্যাণ মন্ত্রী এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাসের কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলেন, “এ দিন ফুলিয়ায় দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের খবর কানে এসেছে। প্রকাশ্যে দলীয় নেতা কর্মীদের এ ধরণের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। ঘটনা সত্যি হলে অভিযুক্তকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে এলাকায় ঘুরে মাইকেও তা প্রচার করা হবে।”
|
বৃহস্পতিবার রঘুনাথগঞ্জের বালিঘাটা পল্লিতে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম দেবরাজ দাস (২৬)। এ দিনই স্থানীয় খুড়িপাড়ায় চণ্ডী মণ্ডল (২৭) নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
|
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। শুক্রবার ভোরে কান্দির চন্দ্রপ্রসাদপুরে মৃতের নাম জগন্নাথ বাগদি (২২)। তিনি ওই ট্রাকের খালাসির ছিলেন।
|
মহিলার মৃত্যু, ধৃত শাশুড়ি |
এক মহিলার মৃত্যুতে শুক্রবার তাঁর শাশুড়িকে গ্রেফতার করল সাগরদিঘি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম উলাশী মণ্ডল। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বনাথপুরে শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে চন্দনা মণ্ডলের (৩০) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। মৃতার বাপের বাড়ি স্থানীয় মথুরাপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ বছর আগে চন্দনাদেবীর সঙ্গে ষষ্ঠি মণ্ডলের বিয়ে হয়। তাঁদের তিন ছেলেও রয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ চন্দনাদেবীর উপরে নির্যাতন চালাতেন তাঁর শবশুরবাড়ির লোকেরা। এ দিনও তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চন্দনাদেবীর শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়।
|
একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি-সহ বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হরিহরপাড়ার শ্রীপুর থেকে ধৃত পয়গম্বর শেখ নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। |