|
|
|
|
এ বার বীরভূমও খেলবে কামদাকিঙ্কর প্রতিযোগিতায় |
বিমান হাজরা • রঘুনাথগঞ্জ |
ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র নলহাটি-সহ বীরভূম জেলার ক্লাবগুলিও এ বার যোগ দেবে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত ফুটবল প্রতিযোগিতায়। ২০০৮ সাল থেকে নিজের সংসদীয় এলাকা জঙ্গিপুরের ১৬৪টি ক্লাব নিয়ে পিতা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের নামে এই প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন প্রণববাবু। পরে ক্লাবের সংখ্যা বাড়ে। এখন গোটা মুর্শিদাবাদ জেলার মোট ২৪০টি দল এই প্রতিযোগিতায় খেলে। প্রণববাবুর ছেলে অভিজিৎবাবু এ বার নলহাটি থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন। তিনি বলেন, “এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রীতিমতো উন্মাদনা রয়েছে মুর্শিদাবাদে। বীরভূমেও ফুটবল সম্পর্কে আগ্রহ যথেষ্ট। তাই নলহাটির বিধায়ক হওয়ার পরে নলহাটির ক্লাবগুলিকে ওই প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ দিতে আর্জি জানাই। সেই আর্জি মেনে আয়োজকেরা ঠিক করেছেন, গোটা বীরভূমের ক্লাবগুলিকেই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ দেবেন। এতে আমরা খুবই খুশি।”
এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজক সংস্থার কর্ণধার শ্রেণিক শেঠ বলেন, “জনসংযোগের হাতিয়ার হিসেবেই প্রণববাবু ফুটবলকে বেছে নিয়েছিলেন। তাতে মুর্শিদাবাদের ফুটবলের উন্নতিই হয়েছে। এ বার অভিজিৎবাবুর আবেদন মেনে বীরভূমের ১৬টি দলও প্রতিযোগিতায় খেলবে। তাই মোট দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৫৬।” বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক অসিত মাল বলেন, “মুর্শিদাবাদ আমাদের পাশের জেলা। তা ছাড়া, প্রণববাবু জঙ্গিপুরের সাংসদ হলেও তাঁর বাড়ি বীরভূম। তার উপরে যাঁর নামে এই প্রতিযোগিতা, সেই কামদাকিঙ্কর ছিলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি বীরভূমেরই মানুষ। স্বভাবতই তাঁর নামাঙ্কিত ফুটবল প্রতিযোগিতার সঙ্গে আমরাও যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত।” অসিতবাবু বলেন, “বীরভূমের অনেক ক্লাবই খেলতে উৎসাহী ছিল। তাদের মধ্যে থেকে ঝাড়াই বাছাই করে ১৬টি দলকে এ বারে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।” এই প্রতিযোগিতার জয়ী দলকে কামদাকিঙ্কর গোল্ড কাপ ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থমূল্য দেওয়া হয়। এ বারের প্রতিযোগিতা শুরু হবে ১২ নভেম্বর জঙ্গিপুরের জোতকমল মাঠে। বীরভূমও যুক্ত হওয়ায় এ বার প্রতিযোগিতার মানেরও উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় তিন বারই জিতেছে ফরাক্কার কোনও না কোনও ক্লাব। তারাও এ বার পড়বে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে। |
|
|
|
|
|