মুর্শিদাবাদ জেলার সাংস্কৃতিক সম্পদ হিন্দু বিবাহ-গীতি আজ লুপ্তপ্রায়। ওই গান পূর্ববঙ্গের লোকগান। দেশভাগের পর যাঁরা ওপার বাংলা থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় এসেছেন তাঁদের মাধ্যমে ওই গানের প্রবেশ ঘটেছে এই জেলায়। আগত হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যাঁদের পদবি ‘বিশ্বাস’ ও ‘ভক্ত’ তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠানে ওই গান গাওয়ার রীতি ছিল। জেলার কান্দি মহকুমায় পাত্র ও পাত্রী উভয়ের বাড়িতেই শুনতে পাওয়া যেত ওই হিন্দু-বিবাহ গীতি। ওই সব গানে পূর্ববঙ্গের ছবি ফুটে ওঠে। গানের কথায় পাত্রকে কখনও রাম, কখনও কৃষ্ণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। অপর দিকে পাত্রী হয়ে ওঠে সীতা। গানে কণ্ঠ মেলান আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা। ওই বিবাহ-গীতির মূল বাদ্যযন্ত্র ঢোল। গানের কথায় ফুটে ওঠে শাস্ত্র মতে বিবাহের খুঁটিনাটি অনুষ্ঠান ও উপাচার। লুপ্তপ্রায় ওই বিবাহ-গীতির স্বরলিপির কোনও লিখিত রূপ অর্থাৎ বই-খাতা মেলে না। পরিবারের লোকজন বংশানুক্রমে স্মৃতি থেকে ওই গীত গেয়ে আসছেন। ছাদ পেটানোর গানের মতোই ওই বিবাহ-গীতিও লুপ্ত হওয়ার পথে। |
কৃষ্ণনগরের কালেক্টর মোড় থেকে পিডব্লিউডি মোড়ের দিকে কয়েক ধাপ এগোলেই দেখা যাবে পুলিশ সুপারের বাংলোর বিপরীত দিকে থেকে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে। ওই রাস্তা লাগোয়া এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়। রাস্তাটি অল্প বৃষ্টিতেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠে। অথচ ওই রাস্তা লাগোয়া কোর্ট, পোস্ট অফিস ও অফিসার্স ক্লাবের মধ্যে দিয়ে আরও একটি উঁচু রাস্তা রয়েছে। ওই রাস্তাটির দু’ দিকের মুখ দু’টি দোকানঘর দখল করে আছে। প্রশাসন ওই রাস্তাটির দু’টি মুখ জবরদখল মুক্ত করে দিলে জলকাদা মাড়িয়ে যাওয়া থেকে পথচারীদের রেহাই মেলে। |
সমসেরগঞ্জ ব্লকের অনুপনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উপর সমসেরগঞ্জ ব্লক, ধুলিয়ান পুরসভা, লাগোয়া মালদহের দেওনাপুর, শোভাপুর, পারলালপুর, শিবপুর প্রভৃতি অঞ্চলের বাসিন্দারা নিভর্রশীল। কিন্তু সেটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা ছাড়া উন্নত ও বিশেষ ধরণের চিকিৎসা পরিষেবা মেলে না। অথচ জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালটিও ওই এলাকা থেকে বেশ দূরে। এ কারণে অনুপনগর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে মহকুমা হাসপাতালের পর্যায়ে উন্নীত করলে কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। সেই আবেদন জানাই। |
মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম শহর জিয়াগঞ্জ। বিভিন্ন কলেজ প্রতিষ্ঠার ফলে বর্তমানে এ জেলার শিক্ষা মানচিত্রেও জিয়াগঞ্জ বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ফলে সেখানে প্রতি দিন কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের যাতায়াত। অথচ জিয়াগঞ্জে সাধারণের জন্য শৌচাগার কিংবা থাকার জন্য কোনও ব্যবস্থা প্রায় নেই। ওই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুরসভার কর্তাদের কাছে অনুরোধ জানাই। |
নদিয়ার দেবগ্রাম এলাকার চাঁদেরহাট, ধোপট্ট, কুষ্ঠিয়া, হাঁসপুকুরিয়া, ধরমপুর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর ইত্যাদি গ্রামগুলির মধ্যে সংযোগকারী একটি রাস্তা ছিল জলঙ্গি নদীর পশ্চিমপাড় বরাবর। ওই কাঁচা পথটি নদীর ভাঙনে আজ নিশ্চিহ্ন। কুষ্ঠিয়া ও হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম দু’টিও নদীর ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। ফলে ভাঙন প্রতিরোধ করে গ্রাম দু’টিকে রক্ষা করার জন্য ও নদীর পাড় বরাবর কয়েকটি গ্রামের সংযোগকারী বিলুপ্ত ওই পথ পুনরুদ্ধার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই। |