|
|
|
|
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই সংস্কার প্রকল্প |
নদী সংস্কারে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য পটাশপুর ১, ভগবানপুর ১ ও ময়না ব্লকের প্রায় ১৭০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে বলে জানাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
তবে, নন্দীগ্রাম কাণ্ডের কথা মাথায় রেখে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক ভাবে এগোতে চাইছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দফতরে সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের পরে জেলাশাসক রাজীব কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “নদী সংস্কারের জন্য পটাশপুর ১, ভগবানপুর ১ ও ময়না ব্লকের প্রায় ১৭০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” রায়ত মালিক, নথিভুক্ত ও অনথিভুক্ত বর্গাদারদের সরকারি নিয়ম অনুসারে ক্ষতিপূরণ পাবে। বসতবাড়ি-সহ বিভিন্ন বৈধ সম্পত্তির ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আগামী নভেম্বর মাসেই জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ‘নো-অবজেকশন’ সার্টিফিকেট নেওয়া হবে। আগামী ২ নভেম্বর পটাশপুর ১ ও ময়না ১ ব্লকে এই সংক্রান্ত বৈঠক হবে। প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করার পরেই সরকারি প্রক্রিয়া মেনে জমি অধিগ্রহণের নোটিস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের মেদিনীপুর বিভাগের সুপারিন্টেডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুবীর লাহা, নোডাল অফিসার সুস্মিতা রায়-সহ পদস্থ কর্তারা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কেলেঘাই-কপালেশ্বরীর সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু ছোট নদী ও খালও সংস্কার করা হবে এই প্রকল্পে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সেচ দফতর। ১০০ দিনের প্রকল্পে বাঁধ মেরামতির কাজ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। জব র্কাড রয়েছে যাঁদের, তাঁরা কাজের সুযোগ পাবেন। |
|
|
|
|
|