৯৭ বছরের চেতলা ২৪ পল্লি বরাবরই দশমহাবিদ্যার পুজো করে থাকে। পুজের দিন শ্যামাকালীর পুজোর পর তা বিসর্জন হয়ে যায়। পরে ছটপুজোর দিন দশমহাবিদ্যার অন্যান্য মূর্তির পুজো করা হয়। কুমারীপুজো এই পুজোর বিশেষত্ব। বীরভূম থেকে তান্ত্রিক এনে পুজো হয় দক্ষিণ চেতলা সর্বজনীন ক্লাবের। কালীর উচ্চতা প্রায় ১৬ ফুট এবং দেবী এখানে দশ হাত আর দশ মুণ্ডের মহাকালী।
আলিপুর আরাধনা সমিতিতে মহালয়ার দিন প্রতিমার কাঠামো পুজো হয়। আলিপুর দুর্গাপুর ব্রীজের পাশে দুর্গাপুর জাগরণী সঙ্ঘের পুজোর বিশেষত্ব, এখানে শ্যামাকালীর পাশাপাশি জীবন্ত কালীর পুজো করা হয়। এ বারে দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, আদ্যাপীঠ আর কালীঘাটের মন্দির-সহ প্রতিমা তুলে ধরা হচ্ছে। থার্মোকল, কাগজ আর বাঁশের বাঁখারি দিয়ে চারটি মণ্ডপও তৈরি করা হচ্ছে।
বিড়লা মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে হাজরা মনোহর পুকুর রোডের রসা ইয়ং মেনস অ্যাসোসিয়েশনের কালীপুজোয়। কাপড়, থার্মোকল আর প্লাই দিয়ে তৈরি মণ্ডপের উচ্চতা প্রায় ৫৫ ফুট। থাকছে ভোগের আয়োজন আর গানের জলসাও।
পূর্ব পুঁটিয়ারি যুবক সমিতির পুজোর মূল আকর্ষণ শব্দহীন আতসবাজির প্রদর্শনী। কাল্পনিক মন্দিরের আকারে মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে। পুজো হয় নবকালীর। থাকছে গানের অনুষ্ঠান। এলাকার মানুষের কাছে বিশেষ আকর্ষণ বিসর্জনের দিন বিভিন্ন সঙের সঙ্গে কাচে মোড়া রথ, এক্কা গাড়ি, ব্যান্ড সমেত আলোর গেটের শোভাযাত্রা।
|