মাত্র দু’দিন পর আই লিগ। নতুন টিডির মস্তিষ্কে ভরসা রেখে তৈরি হচ্ছে মোহনবাগান। শুক্রবার সকালে সুব্রত ভট্টাচার্যের বাগানে কয়েক জন যেমন নতুন ভূমিকায়, তেমন দেখা গেল নতুন দুই মুখ। এক জন মাঠের বাইরে এবং এক জন মাঠের ভিতর।
ভারতের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার এন পি প্রদীপ নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলার সময়ে ছিলেন রাইট ব্যাকের ভূমিকায়। সেই সঙ্গে মোহনবাগানে ট্রায়াল দিতে এলেন মিডফিল্ডার গৌতম ঠাকুর। যিনি খেলছিলেন লেফ্ট হাফে। আর এক নতুন মুখ-কলকাতার এক নামী হাসপাতালের ডাক্তার কনসালট্যান্ট ফিজিওথেরাপিস্ট পুষ্পকেতু কোনের। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত অবশ্য বললেন, “উনি দেখতে এসেছিলেন দলটাকে। এখনই ওঁর সঙ্গে চূড়ান্ত কোনও কথা হয়নি।”
|
এনপি প্রদীপ |
সুব্রত ভট্টাচার্য অনুশীলন করানোর পাশাপাশি জোর দিচ্ছেন দলে একতা আনতে। প্র্যক্টিস শেষে দু-এক জন যখন ছাড়া ছাড়া ভাবে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা লাগাচ্ছেন তখনই ডেকে নিলেন তাঁদের। বললেন, সবাইকে একসঙ্গে যেতে। প্রদীপের কথাতেই পাওয়া যাবে তার প্রমাণ, “টিডি দলে একতা আনায় জোর দিয়েছেন। আমরা মাঠে ঢুকছি একসঙ্গে। মাঠ ছাড়ছিও একসঙ্গে”। প্রদীপ জানালেন, রাইট ব্যাক তাঁর কাছে নতুন জায়গা নয়। বলেন, “আগে মহিন্দ্রাতে থাকার সময়েও ওই পজিশনে খেলেছি।” স্টিভ ডার্বির সঙ্গে সুব্রতর ফারাকটাও ধরে দিলেন তিনি। প্রদীপের কথায়, “ডার্বি খেলাতেন ব্রিটিশ স্টাইলে। নতুন টিডি একদম আলাদা।” কোন স্টাইলটা বেশি ভাল? প্রশ্ন উঠলে প্রদীপের জবাব, “যে স্টাইলে খেলে আমরা জিততে পারব সেটাই ভাল।” কথাগুলি বলার সময়ে জানালেন, সুব্রত ভট্টাচার্য অনেক বড় ফুটবলার ছিলেন। কোচিংও করান ভাল।
আর এক প্রদীপ, টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য প্রদীপ চৌধুরীও হাজির ছিলেন মাঠে। যাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় দলে থাকাকালীন চিঠিও দিয়েছিলেন এন পি প্রদীপ। এখন কিন্তু সে সব আর মাথায় রাখতে চান না তিনি। ফুটবলার প্রদীপের বক্তব্য, “সেটা ছিল জাতীয় দলের ব্যাপার। মোহনবাগানে তো কোনও সমস্যা নেই। তা ছাড়া উনি রোজ আসছেন। সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। ওঁর সঙ্গে আমার কোনও শত্রুতা নেই।”
ক্লাবের নতুন নিয়মে এক জন ফুটবলারের সঙ্গেই সাংবাদিকরা কথা বলতে পারবেন একেক দিন। আজ ছিল প্রদীপের পালা। তাই জানা গেল না প্রদীপের মতো বাকি ফুটবলাররাও সুব্রতর জন্য দরাজ সার্টিফিকেট নিয়ে বসে আছেন কি না। এ দিকে ডার্বির তোপ দাগা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি টিডি সুব্রত ভট্টাচার্য বা কোচ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। |