আবর্জনা জমে বন্ধ হচ্ছে নর্দমা
য়েকটি ওয়ার্ডের কিছু অংশ বাদ দিলে সিউড়ি শহরে জমে রয়েছে যত্রতত্র আবর্জনা। শুধু তাই নয়, এলাকার সব নর্দমা প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয় না। ফলে এক দিকে যেমন মানুষের চলাফেরায় অসুবিধা হচ্ছে তেমনি জমে থাকা আবর্জনা নর্দমায় গিয়ে পড়ছে।
আবর্জনার জন্য বন্ধ হয়ে যায় নিকাশি ব্যবস্থা। সবচেয়ে করুণ অবস্থা বাসস্ট্যান্ডের নর্দমাগুলি। সেগুলি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা প্লাবিত হয়। এমনকি পায়ে হেঁটে যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যায়। তখন ভরসা রিকশা। কিন্তু সেই বাড়া দ্বিগুন হয়ে যায়। অথচ শহর পরিষ্কার রাখার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কর্মী রয়েছে পুরসভায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য প্রায় ১০০ জন স্থায়ী ও ৩০ জনের মতো অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। এবং ১৮টি ওয়ার্ডে কাজ দেখাশোনার জন্য এক জন করে সুপারভাইজার আছেন। আবার ওই সব সুুপারভাইজারদের দেখার জন্য এক জন হেড ওয়ার্কার আছেন ১৯৯৮ সাল থেকে।
নিজস্ব চিত্র।
সেই হেড ওয়ার্কার অসীম মুখোপাধ্যায় সিউড়ি ১ ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি। অভিযোগ, তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন না করে একট ওষুধের দোকান চালান। অসীমবাবুর সাফাই, “আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয় না। কারণ তাতে পুরকর্তৃপক্ষের অসুবিধা হবে। পুরসভাতে বসার জন্য আমার কোনও চেয়ার নেই। ফলে সকালে পুরসভাতে গিয়ে হাজিরা খাতায় সই করে চলে আসি।” আরও অভিযোগ, শুধু অসীমবাবু একা নন, প্রায় ৩০-৩৫ জন কর্মী সই করে চলে যান। কয়েক জন অবশ্য মাসিক ২-৩ হাজার টাকা ব্যয় করে লোক রেখেছেন। সব অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন পুরপ্রান তৃণমূলের উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “শহরবাসীদের সচেতন তে হবে। পুরকর্মী ও কাউন্সিলরদের শহরের প্রতি ভালবাসা জন্মাতে হবে। তবেই উন্নয়ন হবে।” তাঁর দাবি, “পুরসভা যা আয় করে ব্যয় হয় তার দ্বিগুন। ফলে দলের সাংসদ ও বিধায়কদের সাহায্য প্রার্থনা করছি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.