মন্দিরে শক্তির আবাহন

তালপুকুর কালীমন্দির

সার্কুলার রোডের (অধুনা শরৎ চট্টোপাধ্যায় রোড) এই মন্দিরের পুজোর এ বার পঞ্চাশ বছর। ১৯৯১-এ মন্দির নির্মাণ হয়। তখন ছিল মাটির মূর্তি। ২০০১-এ মার্বেলের মূর্তি বসানো হয়। আগে কালীপুজোর দিন বিশেষ আকর্ষণ ছিল তুবড়ি প্রতিযোগিতা এবং যাত্রা অনুষ্ঠান। এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুজোয় খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি, লুচি, পায়েস ভোগ দেওয়া হয়। শনিবার ও অমাবস্যায় মালসা ভোগের ব্যবস্থা থাকে।

ব্রহ্মময়ী কালী মন্দির

জনশ্রুতি, প্রায় ৩৫০ বছর আগে স্থানীয় রায়চৌধুরী পরিবার এই মন্দির তৈরি করে। কষ্টি পাথরের
দক্ষিণাকালী মূর্তি। ভোগে দেওয়া হয় খিচুড়ি, ন’ রকম ভাজা, ফুলকপি-বাঁধাকপির
তরকারি, পোনা মাছের ঝোল ও মিষ্টান্ন।

কালীবাবুর বাজারের সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি

নেতাজি সুভাষ রোডের উপরে এই মন্দির। মন্দিরকে
নিয়ে নানা কিংবদন্তী রয়েছে। ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়
খিচুড়ি, পোলাও, ন’ রকমের ভাজা, কপির তরকারি,
পাঁচ রকম মাছ ও মিষ্টান্ন। পশুবলিও হয়।

দশমহাবিদ্যা মন্দির

নেতাজি সুভাষ রোডে পার্বতী সিনেমার কাছে এই মন্দির অবস্থিত। ১৯৫২-এ কালীপুজো শুরু হয়।
১৯৬২ থেকে দশমহাবিদ্যার পুজো হচ্ছে। প্রথম দিকে মাটির মূর্তিতে পুজো হত। বিসর্জন হত
কালীপুজোর দশ দিন পরে। ২০০০-এ পাকা মন্দির তৈরি হয়। সেখানে কালী-সহ তারা,
ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ছিন্নমস্তা, ভৈরবী, ধূমাবতী, বগলা, মাতঙ্গী ও কমলার মূর্তি রয়েছে।

পাকুড়তলা কালীবাড়ি

কালীকুণ্ডু লেনের এই মন্দিরের বয়স প্রায় একশো বছর।
পাকুড় গাছের নীচে পুজো হত। ১৯৭৭-এ মন্দির ও
কষ্টি পাথরের দেবীমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। কালীপুজোর
দু’সপ্তাহের মধ্যে অন্নকূট হয়। কালীপুজোর দিন খিচুড়ি,
পাঁচ রকমের ভাজা, পায়েস ভোগে দেওয়া হয়।


তথ্যসূত্র: দেবাশিস ঘোষ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.