|
|
|
|
|
|
খেলা |
স্বপ্নপূরণ
|
উত্তম রায় |
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ২৬ বছর বাদে বাবা-কাকাদের স্বপ্নপূরণ করল নিরঞ্জন এক্কা, অভয় এক্কা, সোনু রায়, দিবাকর সিংহ, সঞ্জয় কুজুররা। হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টার-এর হয়ে তারা জিতল প্রেসিডেন্ট কাপ।
১৯৮৫ থেকে রাজ্য হকি সংস্থা ১৬টি জেলার অনূর্ধ্ব ১৭-র সেরা দল নিয়ে প্রেসিডেন্ট কাপের আয়োজন করছে। হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টারের কোচ বিক্রম মিনজ জানান, প্রথম থেকে অংশ নিলেও এ বারই প্রথম হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টার চ্যাম্পিয়ন হল। এর আগে দু’বার তারা সেমিফাইনালে উঠেছিল।
হকি ট্রেনিং সেন্টার এ বারে প্রাথমিক স্তরের সব কয়টি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠে। সেমিফাইনালে কলকাতার বিশালাক্ষ্মী হকি ট্রেনিং সেন্টারকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে বারুইপুর হাইস্কুলের মুখোমুখি হয়। ফাইনালে সুনীল এক্কার করা একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় হকি ট্রেনিং সেন্টার। হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টারের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর দিব্যেন্দু নাগ বলেন, “দীর্ঘ দিন এক সঙ্গে অভ্যাস করে বলে বোঝাপড়া ভাল। রাজ্য লিগ এবং শিল্ডে সাফল্য এলেও প্রেসিডেন্ট কাপ অধরা ছিল। এ বার সেই স্বপ্নই পূরণ হল।” |
|
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় এবং সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পায় হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টারের অনিল এক্কা ও নিরঞ্জন এক্কা। অভয় এক্কার নেতৃত্বে এই দল ফেয়ার প্লে ট্রফিও পেয়েছে। ফাইনালের গোলদাতা হাওড়া শিক্ষা সদন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সুনীল এক্কা বলেন, “আমার গোলে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ভাল লাগছে। আশা করছি রাজ্য দলের হয়েও খেলার সুযোগ পাব।”
খুশি সুনীল এক্কা, অনিল এক্কার বাবা প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় স্যামুয়েল এক্কাও। তিনি বলেন, “আমরা যা করতে পারিনি ছেলেরা তা করে দেখালও।” রানার্স বারুইপুর হাইস্কুলের অধিনায়ক রাকেশ বর্মণ বলেন, “এ বারই প্রথম ফাইনালে উঠলাম। ঘাসের মাঠে অভ্যাস করি। ফাইনালে অ্যাস্ট্রোটার্ফে খেলতে কিছুটা অসুবিধা হয়েছিল। তবে যোগ্য দলের কাছে হেরেছি।” |
|
রাজ্য হকি সংস্থার সচিব গুরবক্স সিংহ বলেন, “এ বারের দু’টি দল প্রথম ফাইনালে উঠল। এ ভাবেই নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে।” সফল খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন লেসলি ক্লডিয়াস, কেশব দত্ত এবং ‘হকির জাদুকর’ ধ্যানচাঁদের পুত্র অশোককুমার। উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র, পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ, রাজ্য হকি সংস্থার সভাপতি গৌতমমোহন চক্রবর্তী প্রমুখ। |
ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|
|
|
|
|