মা ও চার বছরের মেয়ের দেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভদ্রেশ্বর |
বাড়ির শৌচাগার থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হল এক গৃহবধূ এবং তাঁর চার বছরের মেয়ের মৃতদেহ। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ভদ্রেশ্বরের অ্যাঙ্গাস এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম মঞ্জুলতা সুবুদ্ধি (২৭) ও অমৃতা। মঞ্জুলতার স্বামী, চার ভাসুর এবং দুই জা-কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
অ্যাঙ্গাসের পশ্চিম খানপুকুরে সুবুদ্ধি পরিবারের দোতলা বাড়ি। যৌথ পরিবার। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো শুক্রবারেও ভোর চারটে নাগাদ মঞ্জুলতার স্বামী মিঠুবাবু দিনমজুরির কাজে বেরিয়ে যান। আধ ঘণ্টা পরে মিঠুর সেজ দাদা পুনিয়া দেখেন, শৌচাগারের দরজা বন্ধ। ভিতর থেকে পোড়া গন্ধ আসছে। তখন তিনি বাড়ির অন্যদের ডাকেন। দরজা ভেঙে দেখা যায়, দগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে মা-মেয়ের দেহ। পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করেন। দেহের পাশ থেকে কেরোসিনের একটি জ্যারিকেন এবং দেশলাই পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে, ময়না-তদন্তের আগে এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাইছেন না অফিসারেরা। বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঞ্জুলতার বাপের বাড়ি ওড়িশার ব্রহ্মপুর জেলায়। সেখানেও খবর পাঠানো হয়েছে।
বছর পাঁচেক আগে মিঠুবাবুর সঙ্গে মঞ্জুলতার বিয়ে হয়। মিঠুর দাবি, “সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না। আমি কাজে বেরোনোর পরে, প্রতিদিনই স্ত্রী সদর দরজা বন্ধ করে দিত। আজকেও তাই করেছিল। আধ ঘণ্টা পরেই বাড়ি থেকে বিপদের খবর পাই। কেন এমনটা হল, কিছুই বুঝতে পারছি না।” |