হরিপালে মারামারি, ধৃত সিপিএম কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হরিপাল |
বাজার সমিতির হিসেব নিয়ে গোলমালের জেরে তৃণমূল সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের বালিয়ায়। সিপিএম মারধরের পাল্টা অভিযোগ এনেছে তৃণমূলে বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হরিপালের কৈকালা পঞ্চায়েতের বালিয়া মোড়ে স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠক চলছিল। সে সময়ে সিপিএমের হরিপাল জোনাল কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে হিসেবে গরমিলের অভিযোগ ওঠে। দু’পক্ষের বচসা বাধে। কিছুটা দূরে তৃণমূলের নেতৃত্বে বিজয়া সম্মিলনী পালন করা হচ্ছিল। সেখান থেকে দুই তৃণমূল সদস্য বালিয়া মোড়ে আসেন। অভিযোগ, ওই দুই যুবক-সহ তিন তৃণমূল সমর্থকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সিপিএমের প্রমিলা-বাহিনী। দলের আরও লোকজন মারধরে যোগ দেয়। সিপিএমের দাবি, দু’পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ আসে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে। দু’জনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে ঘটনার কথা লিখিত ভাবে থানায় জানানো হয়। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এক জন ধরা পড়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
দলীয় সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে হরিপালের দলীয় বিধায়ক বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে বালিয়ায় মিছিল এবং সভা করে তৃণমূল। হরিপালের তৃণমূল নেতা তুষার সিংহরায় বলেন, “নিজেদের দোষ চাপতে না পেরে আমাদের দলের নিরীহ ছেলেদের আক্রমণ করল সিপিএম। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে না পৌঁছলে খুব খারাপ ঘটনা ঘটতে পারত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।” অন্য দিকে, হরিপাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা সিপিএম নেতা দীনবন্ধু কোলে বলেন, “বালিয়ায় অনেক দিন ধরেই দু’দলের মধ্যে সমস্যা ছিল। সম্প্রতি প্রশাসনের মধ্যস্থতায় শান্তি ফিরেছিল। এ দিন দু’পক্ষের মারামারি হয়। এমন ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। প্রশাসন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।” |